শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে : পলক

প্রকাশিতঃ 5:59 pm | July 16, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:

শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক চাহিদায় রূপান্তর হয়েছে। শিশু -কিশোরদের ইন্টারনেটে নিরাপদ রাখতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। নিজ সন্তান ইন্টারনেটে কি করছে তা দেখতে হবে অভিভাবকদের।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) শিশুদের জন্য আয়োজিত অনলাইন প্রতিভা পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

এ সময় তিনি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন।

এছাড়া নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে শিশু ও তরুণদের চিন্তা ভাবনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইহদ আহমেদ পলক বলেন, শিক্ষার্থীরা বাসায় থেকে অনলাইনে মুক্তপাঠের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতেও খুব সহজেই ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে করোনাকালীন সেবা দিচ্ছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইন গরুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ পশু বেচাকেনা হচ্ছে। ইন্টারনেটকে সকলের নিকট পৌছে দেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পরামর্শে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে শিশু কিশোররা আরো বেশি সচেতন হবে।

শিশুদের জন্য এমন একটি আয়োজন সফল করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান পলক।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলা থেকে অংশ নেওয়া শিশু এবং তরুণদের মধ্য থেকে ১৪৫ জন জুম অনলাইনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড রাইটস গভানের্ন্স এবং চাইল্ড প্রটেকশন সেক্টরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাগেরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ও হ্যাপি ড্রিমস ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক সুষ্ময় দাস।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম