অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে স্থবির ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক

প্রকাশিতঃ 11:59 am | July 20, 2021

কালের আলো সংবাদদাতাঃ

রাত পোহালেই ঈদ। কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করবেন এ আশায় বাড়ি যাচ্ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। অতিরিক্ত যানবাহন ও ঘরমুখী মানুষের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তে উত্তরবঙ্গমুখী লেনের ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাত ৩টা থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নগর জলফৈই বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত উত্তরবঙ্গমুখী মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত যানবাহন ও ঘরমুখী মানুষের চাপে উত্তরবঙ্গমুখী লেনের এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের রাবনা বাইপাস, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি আটকে রয়েছে। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের ওপরে যাতায়াত করছেন। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি অনেক বেশি হচ্ছে।

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী বাসচালক আজিজ খান বলেন, সাভার থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে প্রায় তিন ঘণ্টা। আবার করটিয়া থেকে ঘারিন্দা আসতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা। মনে হচ্ছে ঈদের দিন সকালে রংপুর যেতে পারব। ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

ট্রাকচালক শাহিন জানান, সোমবার পৌলি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যেতে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় লেগেছে। রাতে মহাসড়ক স্বাভাবিক থাকলেও আজ একই অবস্থা।

বাসের এক যাত্রী হানান মিয়া বলেন, ভোর ৪টার সময় সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা থেকে যাত্রা করেছি। থেমে থেমে টাঙ্গাইল এসেছি। তবে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস ঘারিন্দা এসে আটকে পড়েছি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বসে রয়েছি।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে ৬০৩ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া দুই শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে। দুপুরের পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।

কালের আলো/এমএইচ/এএ