ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা!
প্রকাশিতঃ 5:20 pm | October 07, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ
পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা দেশের সকল বাস টার্মিনালে নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। রোববার রাজধানীর ফুলবাড়িয়া টার্মিনালে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা এ ঘোষণা দেন। সমাবেশেয় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু।
সমাবেশে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৩ অক্টোবর থেকে সারাদেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তারা বলেন, আমরাও চেয়েছিলাম সড়ক নিরাপদ হউক। তাই ইলিয়াস কাঞ্চনের সকল কর্মসূচীর প্রতি পরিবহন সেক্টরের মানুষের সমর্থন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মালিক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তার পরামর্শেই সড়ক পরিবহন আইনের অনেক ধারায় অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। তেমনি চালকদের ফাঁসিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাই দেশের সকল বাস টার্মিনালে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো। এছাড়া সমাবেশে সড়ক পরিবহন আইনে জামিন অযোগ্য ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮ সংসদে পাস হয়। মোট ৪টি সংশোধনী নিয়ে ৫৭ পৃষ্ঠার বিলটি উপস্থাপন করা হলে সংসদে কণ্ঠভোটে পাশ করেন সংসদ সদস্যরা। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৮৪, ৯৭ ও ১০৩ ধারায় সংঘটিত অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রে ব্যস্ততম তারকা থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় পর অভিনয় থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে গড়ে তোলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামের একটি সংগঠন। এ সংগঠনের ব্যানারে দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন এবং জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে সারাদেশের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভে একাত্ম ঘোষণা করে রাজপথে তাদের পাশে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এরপর থেকেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ।
কালের আলো/এমএম