সরকারি চাকুরেদের আবাসন সুবিধা বেড়েছে ২৪ শতাংশ
প্রকাশিতঃ 10:40 pm | August 03, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সুবিধা বেড়েছে ২৪ শতাংশ। ২০০৮ সালের আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ছিল ৮ শতাংশেরও কম।
সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও উন্নয়নের কারণে সরকারি চাকরিজীবীরা এ সুবিধা পাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, রাজধানীতে কর্মরত কর্মচারীদের আবাসন সংকটের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি আবাসন ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাজধানীর আজিমপুর, মতিঝিল ও মালিবাগ সরকারি কলোনিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তেজগাঁওয়ে আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মিরপুরে আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মিত মিরপুর, আজিমপুর, মতিঝিল ও মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত দুই হাজার ৪৭৪টি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
যার মধ্যে ২৮৮টি ফ্ল্যাট গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং ৫৮টি ফ্ল্যাট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
জানা যায়, ঢাকার মিরপুর ৬ নং সেকশনে ১৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪টি ভবনে ২৮৮টি ফ্ল্যাট গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ১ জানুয়ারি ২০১৬ সালে আরম্ভ হয়ে ৩০ জুন ২০২১ সালে সমাপ্ত হয়।
অন্যদিকে ঢাকার মালিবাগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪৫৬টি ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১০ আগস্ট ২০১৬ সালে। এতে ২১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা ভবনের এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়।
এসব ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ১০০০ এবং ৮০০ বর্গফুট। এছাড়াও প্রকল্পের আওতায় তিনতলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ ও একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য ৪৪ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি ভবনে নির্মাণ করা হয়েছে ৫৮টি ফ্ল্যাট। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়।
‘ নবনির্মিত এসব ফ্ল্যাটের মধ্যে ১৮০০ বর্গফুট আয়তনের ৭টি, ১৫০০ বর্গফুট আয়তনের ৭টি এবং ৮০০ বর্গফুট আয়তনের ৪৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে।’
অন্যদিকে আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৯৯০ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৩ দশমিক ৬২ একর জমিতে ১৭টি ভবনে মোট ১২৯২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এক হাজার ও ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাটে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা। এসব ভবনে সুপরিসর কমন স্পেসসহ একাধিক লিফট রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় একটি ছয়তলা বিশিষ্ট কমন ফ্যাসিলিটিজ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে বস্তিবাসীর নিরাপদ আবাসনের কথা চিন্তা করে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি একটি প্রকল্প হাতে নেয় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির নিজস্ব অর্থায়নে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে ১৪ তলা বিশিষ্ট পাঁচটি ভবনে মোট ৫৩৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণে এতে ব্যয় ধরা হয় ১৪৮ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) এ প্রকল্পটিও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কালের আলো/এসকে/এমএ