ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা
প্রকাশিতঃ 5:41 pm | August 17, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
টাকা পরিশোধের পরেও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতেই ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা নেয় পুলিশ। মামলায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মোট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৪। মামলায় তিনি ই-অরেঞ্জের ৫ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। যা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই-অরেঞ্জ কোম্পানির ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। এ শর্তেও বারবার নোটিশের নামে ভুক্তভোগীদের পণ্য ডেলিভারি না করে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
মামলার এজাহারে তাহেরুল ইসলাম জানান, তিনি গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি।
এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। আমরা এই করোনাকালীন সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল