ইভ্যালির সম্পদ-ব্র্যান্ড ভ্যালু ৫৪৪ কোটি টাকা, দায় ৫৪৪ কোটি
প্রকাশিতঃ 10:06 pm | August 19, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলো:
ইভ্যালি তাদের সম্পদ ও দায় বিবরণী লিখিত আকারে জমা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। এতে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও সম্পদের হিসাব দেয়া হয়েছে। ইভ্যালি তাদের ব্র্য্যান্ড ভ্যালু প্রায় ৪২৩ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে চিঠিতে।
তবে আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। এই দেনার বিপরীতে তাদের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য মোট সম্পদ রয়েছে ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা। তবে এতে অদৃশ্য সম্পদ হিসেবে ৪২৩ কোটি টাকাই দেখানো হয়েছে ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু মূল্যায়নের মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, বস্তুগত ও অবস্তুগত মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫৪৪ কোটি টাকার সম্পদ আছে। ৫৪৪ কোটি টাকার মধ্যে, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ১০৫ কোটি টাকার বস্তুগত সম্পদ আছে বলে দাবি করেছে ইভ্যালি। এছাড়া ব্র্যান্ড ভ্যালু ও অন্যান্য অবস্তুগত সম্পত্তির হিসেবে বাকি ৪৩৯ কোটি টাকার হিসাব দেখানো হয়েছে।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, মার্চেন্টদের কাছে দেনার তথ্য দিতে ইভ্যালিকে তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তারা প্রথম ধাপের ব্যালেন্স শিট জমা দিয়েছে। সেখানে তাদের দেনার পরিমাণ ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বাকি দুই ধাপে তাদের তথ্য পেলে আমরা আবার বসব।
হাফিজুর রহমান বলেন, ইভ্যালি তাদের সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছে ১০৫ কোটি। কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখিয়েছে ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেভাবেই তারা তাদের ব্যালেন্স শিট মিলিয়েছে।
সম্পদ ও দায় বিবরণীসংক্রান্ত পত্রের অনুলিপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ১৫ জুলাই ২০২১ তারিখ পর্যন্ত গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম, সরবরাহকারীদের কাছে দেনা, ব্যবসায়িক ব্যয়সংক্রান্ত দেনাসহ অন্যান্য সব দেনা বাবদ ইভ্যালির মোট চলতি দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদনে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির এই দায়ের মোট পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তদন্ত দল প্রতিবেদনে মতামত ব্যক্ত করে জানিয়েছিল, ইভ্যালির প্রকৃত দায় আরও বেশি হতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইভ্যালি তাদের যে দেনার হিসাব দিয়েছে (৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা) সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দলের প্রতিবেদনের তথ্য থেকে ১৩৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮২ টাকা বেশি।
এর আগে ১৯ আগস্টের মধ্যে কোম্পানির সম্পদ ও দায় বিবরণী সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক জবাব চেয়ে মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিন সপ্তাহ সময়ের বিভাজন করা হয়েছে তিনভাবে। ক্রেতাদের কাছে ইভ্যালির দায় কত, তা জানাতে হবে সাতদিনের মধ্যে; মার্চেন্টদের কাছে দায় কত, তা জানাতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে; আর সম্পদ ও দায় কত আছে, তা জানাতে হবে তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে।
কালের আলো/আরকে/এমএম