৭১ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি
প্রকাশিতঃ 2:10 pm | August 21, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
চার লাখ ১৮ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৭১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার টন সেদ্ধ এবং ৫৬ হাজার টন আতপ চাল। চালে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এ চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চাল আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
শর্তে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
চালের বাজার অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল। বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকার কাছাকাছি। চিকন চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ অবস্থায় দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানি শুল্ক ও কর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা আগামী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কমানো শুল্ক হারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে গত বছর দাম বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে ও আমদানি উৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশে নামানো হয়, গত এপ্রিলে শেষ হয় যার মেয়াদ।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল