পাগলা মসজিদের দানবক্সে এবার এককোটি ১৪ লাখ টাকা

প্রকাশিতঃ 8:48 pm | October 13, 2018

কালের আলো প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার এককোটি ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৫ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক সোনা ও রূপার অলঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান বাক্সগুলো খোলা হয়। এ কাজে তদারকি করেন কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ। পরে শুরু হয় টাকা গণনার পালা। টাকা গণনার কাজ দেখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন প্রমুখসহ প্রশাসনের অনেকে।

এর আগে গত ৭ জুলাই দান সিন্দুক (দানবাক্স) খোলার পর ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা পাওয়া যায়। ৩০ মার্চ সিন্দুক খোলার পর পাওয়া যায় ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। গত ১৩ মে পাগলা মসজিদে দুর্বৃত্ত টাকা চুরির চেষ্টা চালায়। সে সময় একটি দানবাক্স খুলে এক বস্তা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা সে টাকা নিয়ে যেতে পারেনি। নৈশপ্রহরীর তাড়া খেয়ে টাকার বস্তা ফেলে রেখেই দুর্বৃত্তদের পালাতে হয়। সে সময় বস্তা থেকে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া যায়।

এর আগে এ বছরের ৬ জানুয়ারি মসজিদের ৫টি সিন্দুক খুলে গণনা করে এককোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া যায়। এরও আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট সিন্দুক খুলে এককোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদ বলেন, ‘সবার উপস্থিতিতে আমরা আজ সিন্দুক খুলে টাকা গণনা করেছি। গণনা শেষে প্রাপ্ত টাকা রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে ব্যাংকে ভল্টে রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, দানে পাওয়া গবাদি পশু নিলামে বিক্রি করা হবে।’

কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে দুই শতাব্দী পুরনো পাগলা মসজিদ। পাঁচ তলা উঁচু মিনারের মসজিদটি দূর থেকেই নজর কাড়ে। তবে দেশজুড়ে এর পরিচিতি দানবাক্স থেকে পাওয়া কোটি টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কারের কারণে।

কালের আলো/বিএম