প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, সঙ্কটে নিজেকে প্রমাণ করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:49 pm | August 23, 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

বরিশালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জল ঘোলা হওয়ার আগেই সঙ্কটময় সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটেছে।

দু’পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে যবনিকাপাত ঘটেছে উত্তাপের। আরও একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিরাজমান অস্থিরতার নিরসন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধানের নির্দেশে সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। হাসিমুখের ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে।

মন্ত্রীর নরম-গরম কৌশলে উদ্ভুত পরিস্থিতির হাসিমুখে সমাপ্তি ঘটেছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আস্থা যেমন ধরে রেখেছেন তেমনি নিজেকে সঙ্কটে প্রমাণও করেছেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, এমনটিই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

৯৬’র আওয়ামী লীগ সরকারে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও একাদশ সংসদে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মো.তাজুল ইসলাম। তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতার আওতায় আনতে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার পর করোনা সঙ্কটে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ত্রাণ কর্মসূচি পরিচালিত করেছেন। ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে কোন অনিয়ম হলেই সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।

জনপ্রতিনিধিরা যে দলেরই হোক না কেন অভিযুক্ত হলেই কাউকে ছাড় দেননি। সবার সঙ্গেই সমান আচরণ করেছেন। আবার ভালো কাজ করা জনপ্রতিনিধিদের প্রশংসাও করেছেন।

কেউ কেউ বলছেন, বরিশালের ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে অভিহিত করেন।

রোববার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি এখন বেশি মাত্রায় নেই, এটি সমাধানের দিকে চলে যাচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

সমঝোতার ভিত্তিতে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ‘ছক’ কষে মন্ত্রী সব পক্ষের সঙ্গেই দফায় দফায় কথা বলেন। পথ খুলে দেন সমাধানের।এরপরই বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদলের বাসভবনে সব পক্ষের আলোচনায় বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটে।

সূত্র জানায়, বরিশালের ঘটনায় সমঝোতার আবহ তৈরি করতে বিষয়টিকে খুবই দক্ষতার সঙ্গেই সামাল দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। কঠোর ভাষায় বক্তব্যের বদলে তিনি স্বস্তির বার্তা দিয়েছেন বারবার।

বলেছেন, ‘মতপার্থক্য থাকতে পারে, এটা থাকবেই। পরিবারের ভেতরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমনি মতপার্থক্য থাকে, বাবা-সন্তানের মধ্যেও মতপার্থক্য থাকে। আমরা যারা কাজ করি, আমার অধীনস্থদের সঙ্গে আমার কথায় মতপার্থক্য থাকলেও আবার আমরা একসঙ্গে কাজও করি।’

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ কালের আলোকে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা একে অন্যের পরিপূরক।

বরিশালের ঘটনাটি মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বিচক্ষণতায় আলোচনার ভিত্তিতেই সমাধান হয়েছে। তিনি দক্ষতার সঙ্গেই উদ্ভুত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন।’

কালের আলো/জিকেএম/এমএএএমকে