রেকর্ড গড়ে নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশের রিজার্ভ
প্রকাশিতঃ 10:18 am | August 25, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ-সহায়তায় ভর করে বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ- এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ বাংলাদেশের এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা যোগ হওয়ায় রিজার্ভ এই মাইলফলক অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো রিজার্ভে ৪০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অব্যাহতভাবে তা বাড়ছে।
অন্যদিকে জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (১.৮৭ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর অর্থবছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।
কালের আলো/বিএস/এমএন