উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ আজ বিস্ময় : স্পিকার
প্রকাশিতঃ 3:05 pm | October 17, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ আজ বিস্ময় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসরমান বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে নিরলস অবিচল কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালে সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বুধবার জেনেভায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় জনগণ ভোগ করছে ইতিবাচক পরিবর্তনের সুবিধা।’
তিনি আরো বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ অনন্য। সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বও ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে সংসদে ৭৩ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। বিরোধী দলের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সমালোচনা সংসদকে আরও বেশি কার্যকর করেছে। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চায় আস্থা রেখেছেন। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচাইতে বড় দুইটি গণতান্ত্রিক সংগঠন সিপিএ ও আইপিইউ’তে শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বর্তমানে সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান। সেই সঙ্গে ধাবমান তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতের সম্পদ।’
এ ছাড়াও স্পিকার বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না। বাঙালি জাতির মুক্তি তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। কারও কৃপা বা অনুকম্পায় নয়, বরং রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে যুক্ত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখপানে।’
এর আগে আইপিইউ’র সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুং গং এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন স্পিকার। সাক্ষাতকালে তারা আইপিইউ’র ফোরামে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার এবং বাল্য বিবাহ হ্রাস করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া আইপিইউ’র মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠী যাতে উপকৃত হতে পারে সেই বিষয়েও ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।
কালের আলো/ওএইচ