বিয়েবাড়িতে ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৪

প্রকাশিতঃ 3:39 pm | September 19, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:

কুমিল্লার হোমনায় বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ঘারমোরা বাজারে এই সংঘর্ষ হয়।

এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে সেখানে।

উভয় পক্ষের আহতরা হলেন- রাজিব মিয়া, শাহ আলম, জিলানী, অজিত, শাহ আলম, নজরুল মিয়া, কবির হোসেন, ইকবাল মিয়া, আশাবুদ্দিন, ইকবাল হোসেন, কেটা মায়া, আজগর আলী, সানাউল্লাহ, আরিফ, শুভ, জিলানি, জুয়েল, তানভীর, সাইদুল, মোমেন, বাদশা মিয়া, হৃদয়। এদের মধ্যে রাজিব মিয়া ও শাহ আলম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার বাগমারা গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে। গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিয়ের দিন নির্ধারিত হয়। বৃহস্পতিবার রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে পাশের হুজুর কান্দি গ্রামের রাসেল ইমরান অন্তর সহ ৮/৯ জন ছেলে গিয়ে মেয়েদের ছবি তুলতে থাকেন। এসময় বড় ঘারমোড়া গ্রামের কয়েকজন ছেলে এসব ছবি ডিলিট করতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে বড় ঘারমোরা গ্রামের আউয়াল মিয়া বাজারে আসলে তাকে মারধর করেন হুজুর কান্দি গ্রামের ছেলেরা।

এ ঘটনায় আওয়াল মিয়ার ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে হুজুর কান্দি গ্রামের ১৫ জনকে আসামি করে ওইদিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হুজুর কান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।‌

ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‌বৃহস্পতিবার বিয়ে বাড়িতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ছেলেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে শনিবারও একজনকে মারার ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এর জের ধরে আজকে আমরা বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বসলে হুজুর কান্দি ও বড় ঘারমোড়া গ্রামের লোকজন নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কায়েছ আকন্দ বলেন, সংঘর্ষের একজন এয়ারগান নিয়ে এসেছিল বলে শুনেছি। গুলির বিষয়ে আমি বলতে পারব না। পরে তদন্ত করে জানানো হবে।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল