ইউপি সদস্য হলেন প্রেমের টানে ফিলিপাইন থেকে ময়মনসিংহে আসা নারী

প্রকাশিতঃ 6:00 pm | November 13, 2021

কালের আলো সংবাদদাতা:

প্রেমের টানে ফিলিপাইনে বাবা-মা-ধর্ম ছেড়ে চলে এসেছিলেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। এরপর ময়মনসিংহের যুবককে বিয়ে করেন তিনি। তার পূর্বের নাম ছিল জীন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা। বিয়ের পর নাম বদলে হয়ে যান জেসমিন আক্তার। এর ১০ বছর পর তিনি হলেন জনপ্রতিনিধি।

ফিলিপাইনের ওই নারী বর্তমানে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের দবরদস্তা গ্রামে জুলহাস উদ্দিনের স্ত্রী। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে রাধাকানাই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী প্রার্থী ছিলেন তিনি।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে প্রায় চারগুণ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। তাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করায় এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফিলিপাইনের এই কন্যা।

তিনি বলেন, আমি জনগণের আস্থার মর্যাদা দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করবো। বাংলাদেশকে ভালবেসেই তিনি ফিলিপাইন ছেড়ে এদেশে এসেছেন।

জিন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা জানান, আমার স্বামী জুলহাসকে আমি হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। তার জন্যই নিজের দেশ, বাবা-মাকে ছেড়ে বাংলাদেশে ছুটে আসা। জুলহাসের পরিবার ও গ্রামের মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়েছি।

স্বামী জুলহাস উদ্দিন বলেন, জীন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা এলাকাবাসীর সেবা করে তাদের জয় মন করেছে। সে এলাকার সাধারণ মানুষের কথাতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তারাই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।

জানা যায়, জীন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা ছিলেন ফিলিপাইনের নাগরিক। গ্রেজুয়েশন শেষে চাকরি নেন সিঙ্গাপুরে। সেখানে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবক জুলহাসের সঙ্গে। একই কর্মস্থলে কাজ করতেন তারা। সেখানে দুই বছর কাজ করার পর দুজনেই ফিরে যান নিজেদের দেশে। কিন্তু চলতে থাকে তাদের যোগাযোগ। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার।

বিয়ের সিদ্ধান্তে ২০১০ সালের শেষের দিকে জুলহাস পাড়ি জমান ফিলিপাইনে। সেখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন জীন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা ও জুলহাস। এরপর ধর্ম, মা, বাবা, দেশ, ধর্ম ছেড়ে চলে আসেন জীন ক্যাটামিন পেট্রিয়াকা। এখন তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল