মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শাজাহান খান
প্রকাশিতঃ 7:50 pm | October 29, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবি আদায়ে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশ। সড়কে গাড়ি না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।
সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। দেশব্যাপী যখন তার কঠোর সমালোচনা চলছে তখন আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বৈঠকে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না।
কেন তিনি উপস্থিত ছিলেন না গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সম্ভবত উনার (শাজাহান খান) কোনো আত্মীয় মারা গেছেন। তিনি সেখানে গেছেন। এ কারণে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্রমিক ধর্মঘট ও শ্রমিকদের নৈরাজ্য আচরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে শফিউল বলেন, ‘ধর্মঘট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
এদিকে ধর্মঘটের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠলেও শাজাহান খানের মুখ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কথা বের হয়নি। গত রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আমি কিছু জানি না। আমি এটা নিয়ে কিছুই বলব না। ধর্মঘট নিয়ে কোনো মন্তব্য নয়।’
আর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চেষ্টা করা হলেও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সমাবেশে সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন এবং ৮ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানান শ্রমিক নেতারা। ঘোষণা করা হয় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট। রোববার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয় এই ধর্মঘট।
কালের আলো/এনএম