ফের ক্ষমতায় আসার আশাবাদ প্রধানমন্ত্রীর, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রওশনের
প্রকাশিতঃ 12:28 am | October 30, 2018
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়। আবার আসিব ফিরে এই সংসদে, এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার… জীবনানন্দ দাশের কবিতার আলোকে এমন উক্তির মধ্য দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সব বড় বড় মেগা প্রকল্প সমাপ্ত করার জন্য আরো একটু সময় প্রয়োজন, সে জন্য জণগণকে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে জানান তিনি। এর চেয়ে আরো ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টা প্লান গ্রহণ করার কথা জানান তিনি। কোন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তিনি একটা লক্ষ্য স্থির করার কথা বলেন। জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করা, উন্নত জীবন করে দেবার জন্য তিনি এসব পরিকল্পনার কথা বলেন। বিশ্বের সব উন্নত দেশের মতো দেশের জনগণকে উন্নত দেশ দিতে হবে।
অপরদিকে, আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, আসুন সবাই মিলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। রওশন এরশাদ বলেন, এই সংসদে জনগণের যতো কথা যতো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি, সমাধানের চেষ্টা করেছি, আমার মনে হয় না অন্য কোনো সংসদে এটা হয়েছে। ঘরের মধ্যে বিরোধকে রাস্তায় টেনে নিয়ে রক্তাত্ত পরিস্থিতি করার যুগ আমরা অনেক আগেই শেষ করেছি।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, নির্বাচন আসন্ন, আসুন আগামী নির্বাচনে সবাই অংশ নিয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে, সুষ্ঠু সমাজ গড়তে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া জরুরি। তাই আমরা সবাই মিলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবো, এটাই আমার প্রত্যাশা।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বেঁচে থাকাটা একটা এক্সিডেন্ট। গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলায় আমাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। যে দেশে আমার মা-বাবা ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। যেকোন দিন আমিও মারা যেতে পারি এটা নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি। দেশবাসীকে আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশ কে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানান তিনি।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের জন্য বেতন ভাতা বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধী দলের সরব উপস্থিতি ও সরকারি দলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় দশম জাতীয় সংসদ কার্যকর এবং প্রাণবন্ত ছিলো বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী-এমপিরা। তারা এও বলেছেন, এই সংসদ অনন্য উচ্চতায় ইতিহাসে লেখা থাকবে। এই সংসদকে ভবিষ্যতের উদাহরণ হিসেবে নিতে হবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয় বর্তমান দশম সংসদ। এ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি। যা শেষ অধিবেশন অর্থাৎ ২৩তম অধিবেশন শেষ হয় ২৯ অক্টোবর।
এই সংসদে ১৫জন সংসদ সদস্য পরলোক গমন করেছেন। দশম সংসদে মোট ৪১০ কার্য দিবসে ১৯৩টি আইন পাস হয়েছে।
কালের আলো/ওএইচ