নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে অস্বাভাবিক হিসেবে অভিহিত করেছে তার দল। বলা হয়েছে, বিএনপি এ রায়ে স্তম্ভিত ও বিস্মিত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণার পর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলায় ‘ফরমায়েশি’ রায়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি।

এ ছাড়া রাজধানীসহ দেশজুড়ে আজ মানববন্ধন ও আগামীকাল অনশন কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। অনশন পালন হবে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। পুলিশ এ কর্মসূচি পালনে মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জনসভা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গতকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। এছাড়া দুদিন আগে থেকে বিভিন্ন জেলায় সাদা পোশাকধারী সরকারি বাহিনী দলের অনেক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে জানিয়ে অন্তত ৫০ নেতার নাম ও দলীয় পদ উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, তাদের এখনো জনসমক্ষে হাজির করা হয়নি। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, পুলিশ আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। সিরাজগঞ্জজেলা বিএনপি কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গতকাল আগুন লাগিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি দাবি জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাইকোর্টের অস্বাভাবিক রায়ে পরিষ্কারভাবে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এই রায় প্রায় নজিরবিহীন। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায়কে সম্পূর্ণ প্রত্যাখান করছি এবং জনগণই বিচার করবে ভবিষ্যতেরায় কী হওয়া উচিত ছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসাও এখানে কাজ করছে। যে কারণে চরমভাবে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এ ধরনের সাজা দেওয়া হচ্ছে।