কণ্ঠশিল্পী আসিফের আদালতে হাজিরা ১৭ ডিসেম্বর

প্রকাশিতঃ 3:57 pm | October 31, 2018

আদালত প্রতিবেদক, কালের আলো:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের আদালতে হাজিরার পরবর্তী দিন আগামী ১৭ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিবানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটিতে আসিফ আকবরের হাজিরা এবং পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত আগামী ১৭ ডিসেম্বর হাজিরা ও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

এর আগে এ মামলায় গত ৬ জুন আসিফের ৫ দিনের রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত। ৫ দিন কারাভোগের পর গত ১১ জুন আদালত আসিফের জামিন মঞ্জুর করলে ওইদিনই তিনি মুক্তি পান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা তেজগাঁও থানার মামলায় গত ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টার গ্রেপ্তার হন আসিফ আকবর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শফিক তুহিন জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে শফিক তুহিন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
ঘটনা জানার পর তিনি গত ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। শফিক তুহিনের সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন।

পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।

কালের আলো/এমএইচ