আইন সহজ করে ভ্যাট আদায়ের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 6:42 pm | December 10, 2021

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সবাই ভ্যাট দিতে চায়। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া জটিল থাকায় অনেকেই ভ্যাট দিতে পারছে না। এ জন্য আইনকে সহজ করতে হবে। ভ্যাটের প্রয়োজনীয় ফরমগুলোকে সিম্পলিফাই করে ক্রেতার কাছে নিয়ে গেলে তারা নিজেরাই এগিয়ে আসবে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষ মতবিনিময় ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনাদের একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, যারা শুধু ট্যাক্স দেয় তাদের বেশি চাপ দেবেন না। যারা ভ্যাট-ট্যাক্স দিচ্ছে না, তাদের ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

সেরা ভ্যাটদাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের যে অর্জন, যে সম্পদ সেখানে কিন্তু আপনার প্রতিবেশির অধিকার আছে। আপনাদের আয়ের ওপর তাদের হক আছে। আপনাদের ভ্যাট, ট্যাক্সের টাকা দিয়েই পিছিয়ে পড়া মানুষের অর্থনীতির মূল স্রোত ধারায় আনার চেষ্টা করছি। যে রেভিনিউ আপনারা দিচ্ছেন তা দিয়ে আমরা অবকাঠামো করি, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সামনে আনার কাজ করি। আপনাদের দায়িত্ব হলো অন্যদেরকেও ভ্যাট দিতে উদ্বুদ্ধ করা।

অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।

পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় উৎপাদন খাত থেকে রয়েছে- এরিস্টোফার্মা লিমিটেড, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স মায়া বিড়ি ফ্যাক্টরি। ব্যবসায় শ্রেণিতে আছে- এস এম মোটরস, এমকো বাজাজ ইন্টারন্যাশনাল ও ইউনিয়ন মোটরস লিমিটেড। আর সেবা ক্যাটাগরিতে তিন সেরা ভ্যাটদাতা হলো ইডটকো বাংলাদেশ কোং লিমিটেড, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেড ও রবার্ট বস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

সভাপতির বক্তব্যে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর ছাড় সব সময় নেতিবাচক নয়। এটা কর্মসংস্থান বাড়ায়। আমাদের করছাড় রাখতে হবে, করছাড় কমাতে হবে, এবং সিলেক্টিভ হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যারা নিয়মিতভাবে মূসক দেয় তাদেরকে হয়রানি না করে উৎসাহিত করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জেলা চেম্বার ও খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনসমূহের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করা প্রয়োজন। মূসকের জন্য ঢাকায় এলটিইউ বর্তমানে ১ টির স্থলে ২ টি এবং চট্টগ্রামে ১টি এলটিইউ স্থাপন করা হলে রাজস্ব আহরণে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।

কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল