ডা. সাবরিনাকে কেন জামিন নয়, হাইকোর্টের রুল
প্রকাশিতঃ 7:06 pm | December 14, 2021
নিজস্ব সংবাদদাতা, কালের আলোঃ
করোনাভাইরাসের ভুয়া নমুনা পরীক্ষার ঘটনার মামলায় গ্রেফতার জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন আবেদন করেন। আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
গত বছরের ৫ আগস্ট করোনা রিপোর্ট প্রতারণার অভিযোগে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, করোনা জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী। এ দুজন ছাড়াও মামলার অন্য ছয় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন- জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা। মামলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলা করার ৪২ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
ওই বছরের ২০ আগস্ট ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হয়।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠার পর গত বছরের ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
কালের আলো/টিআরকে/এসআইএল