গণভবনে এক টেবিলে মুখোমুখি শেখ হাসিনা-কামাল

প্রকাশিতঃ 9:03 pm | November 01, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক,কালের আলোঃ
নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বহুল আলোচিত সংলাপ। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ২১ জনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে আছেন ড. কামাল হোসেন। তাদের পক্ষে আছে ২০ জন।

গণভবনে এই আলোচনা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেবিলের ঠিক উল্টোপাশে বসেছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কামাল হোসেন।

দুই নেতা আওয়ামী লীগে এক সঙ্গে ছিলেন ৯১ সাল পর্যন্ত। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর নৌকা মার্কা দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করেন ড. কামাল। তবে ১৯৯০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে বিরোধের জেরে গণফোরাম গঠন করে আলাদা হয়ে যান তিনি।

শুরুতে আলোড়ন তুললেও রাজনীতিতে বলার মতো কিছু করতে পারেননি কামাল হোসেন। ১৯৯৬ সালে ঢাকার ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর আসন থেকে লড়াই করে নগন্য ভোট পেয়ে জামানত হারান তিনি। এরপর আর ভোটে নামেননি তিনি।

তবে সম্প্রতি ড. কামাল আলোচিত হয়ে উঠেছেন বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের নেতাকে নিয়ে গঠন করা এই জোটের প্রধান নেতা ড. কামালই। আর তার চিঠিতেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসতে রাজি হন।

কামাল হোসেন যে প্রতিনিধি দল নিয়ে গণভবনে গেছেন, সেখানে তার অনুসারীই বেশি। ২১ জন যাওয়ার কথা থাকলেও গয়েশ্বর অনুপস্থিত থাকেন। ফলে ২০ জনের মধ্যে ড. কামালসহ গণফোরামের আছে ছয় জন। তার আরেক উদ্যোগ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আছে দুই জন। বিএনপির আছে ছয় জন। এর বাইরে জেএসডির তিন জন, নাগরিক ঐক্যের দুই জন এবং ব্যক্তি হিসেবে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরীও আছেন সেখানে।

টেবিলের এক পাশে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন্যদিকে কামালের পাশে কাদেরের ঠিক উল্টোপাশে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দুই পক্ষই বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক চলছিল।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসবেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে। আর ৫ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।