আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি
প্রকাশিতঃ 2:28 pm | November 04, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার দাবি তোলা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শুকরানা মাহফিল থেকে। শোলাকিয়ার ইমাম ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ এ দাবি জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসাগুলোর ছয় বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশ আয়োজিত এই ‘শুকরানা মাহফিলে’ সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী। মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সবই দিয়েছেন, আপনার প্রতি আমাদের আরও একটু চাওয়া আছে। আমরা আপনার কাছে ইমামদের ৫ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ভাতা দিলে সরকারের ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে, যা খুবই কম। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আপনি মানবতা দেখিয়েছেন। আপনি বলেছেন ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হলে ৮ লাখ মানুষের খাওয়ার অভাব হবে না। আমরা চাই আমাদের অন্যান্য দাবির মতো আপনি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা প্রদানের দাবিও মেনে নেবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো আলেমকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি৷ আমরা চাই আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ আহম্মদ শফীকে আপনি স্বাধীনতা পদক প্রদান করবেন।
এদিকে শুকরানা মাহফিল উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ঢল। রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত বাস ভর্তি করে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মধ্যরাত থেকেই ঢাকায় আসতে শুরু করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
মৎস্যভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্ত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়র্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশ পথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের।
এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
কালের আলো/এনএম