স্কুল এন্ড ইন্টেলিজেন্স’র সক্ষমতায় সন্তুষ্ট আইজিপি
প্রকাশিতঃ 11:13 pm | November 05, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
গোয়েন্দা প্রশিক্ষণে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স সক্ষমতা অর্জন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
তিনি বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে দক্ষ ও পেশাদার পুলিশ সদস্য তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স। এই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ পুলিশ সদস্য তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সোমবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স’র নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন পুলিশ প্রধান।
দক্ষ জনবল বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) সরকারের সবচেয়ে পুরোনো গোয়েন্দা সংস্থা। স্পেশাল ব্রাঞ্চের সক্ষমতা বাড়ানোর বড় জায়গা হলো যথাযথ প্রশিক্ষণ। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স ইতোমধ্যেই সক্ষমতা অর্জন করেছে।
পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহে দক্ষ ও পেশাদার পুলিশ সদস্য তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স।
আরও পড়ুন: ‘পেশাদারিত্ব’ দিয়েই নির্বাচনী ‘চ্যালেঞ্জ’ জিতবেন আইজিপি
বর্তমানে প্রচলিত অপরাধের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অপরাধ ও সাইবার অপরাধ বাড়ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গোয়েন্দা কার্যক্রমে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষিত করার বিকল্প নেই। স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স এক্ষেত্রে দক্ষ পুলিশ সদস্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, মত পুলিশের সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তার।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবদুস সালাম, এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলামসহ ঢাকাস্থ পুলিশে বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টরে নিজস্ব ২২.৪৪ কাঠা জমির উপর বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট স্থায়ীভাবে পূর্ণাঙ্গ স্কুল ভবন তৈরী হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শিগগির শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স’র প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৯২ সালে ৮টি কোর্সে মাত্র ২৪৮ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালে ২৫টি কোর্সে ৮০টি ব্যাচে মোট ২ হাজার ৪১১ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো বেগবান হবে বলেও মনে করেন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
কালের আলো/ওএইচ/এএ