দেশের উন্নয়ন-সঙ্কটে আনসার-ভিডিপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 8:45 pm | February 10, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

একেবারে শুন্য থেকে শুরু হয়েছিল সূচনা। স্বাধীনতা-পরবর্তী চরম সঙ্কটময় অর্থনৈতিক অবস্থা কাটিয়ে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। স্বল্পোন্নত দেশের পরিচয় ঝেড়ে শামিল হয়েছেন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। অর্থনীতির গতিময়তায় সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছেন নিজেদের। ৯০ শতাংশের দারিদ্র্য নেমে এসেছে ২০ শতাংশে। শিক্ষা, গড় আয়ু ও নারীর ক্ষমতায়নেও নন্দিত হয়েছে বিশ্বে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত আনসার-ভিডিপি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাথাপিছু আয় বেড়ে ঠেকেছে ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারে। বেড়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও। আর্থ সামাজিক প্রতিটি সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে মাথাপিছু জিডিপির হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ এবং এশিয়ার মধ্যে চতুর্থ হতে চলেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছরের বাংলাদেশের অসামান্য-অভূতপূর্ব এসব অর্জনে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ, সুশৃঙ্খল ও জনসম্পৃক্ত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবদানকে গুরুত্ব দিয়েই উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের পথে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রায় ৬১ লক্ষ সদস্যের এই বিশাল বাহিনীটির সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। সেজন্য আপনাদের সকলকেই প্রচেষ্টা নিতে হবে। সকলেই সেই প্রচেষ্টা নেবেন এবং সেটাই আমি আশা করি।’

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রগাঢ় আস্থা-বিশ্বাস আনসার ডিজি মেজর জেনারেল শামীমের

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ৪২ তম জাতীয় সমাবেশে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের সফীপুরস্থ আনসার ভিডিপি একাডেমির মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশ্ব মানবতার এই জাগ্রত বিবেক তাঁর দক্ষ, প্রাজ্ঞ ও গতিশীল নেতৃত্বের মুন্সীয়ানায় দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন নিজের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণী ভাষ্যে।

একই সঙ্গে স্বাধীনতা থেকে ৫০ বছরের বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় আনসার-ভিডিপির অবদান, সরকারের দেওয়া যেকোন দায়িত্ব সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে পালনেও পুরোমাত্রায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.আখতার হোসেন। গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।

অনুষ্ঠানে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আনসার সদস্যদের মাঝে পদক বিতরণ করেন। মোট ১৬২ জন আনসার সদস্য পদক লাভ করেন। এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো.আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম তাঁর সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আনসার সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং তাঁকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদনও জানানো হয়।

আরও পড়ুন: আনসার-ভিডিপিকে এক নির্ভরযোগ্য সুশৃঙ্খল বাহিনী মনে করেন জননিরাপত্তা সচিব

প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে আনসার-ভিডিপির সেই স্লোগান
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মুখে এবারের জাতীয় সমাবেশে স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারার দু:খবোধ ফুটে উঠে প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠে। করোনাকাল শেষ হলে আবারও এক সঙ্গে মিলিত হওয়ার তীব্র আকাঙ্খার কথাও জানান মুজিবকন্যা। উচ্চারণ করেন মুজিবশতবর্ষে দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীটির সেই ঐতিহাসিক স্লোগান- ‘মুজিববর্ষের উদ্দীপন আনসার ভিডিপি আছে সারাক্ষণ’।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এই স্লোগানকে মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে বাহিনীর সদর দপ্তর, একাডেমি, রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন ও প্রতিটি জেলা কার্যালয়ে ১১২ টি বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষে আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে চলমান মাস্টার্স অব হিউম্যানস সিকিউরিটি কোর্সসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সূচিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবন ও কর্ম শীর্ষক পাঠ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী পরিচালিত সকল স্কুলে একটি করে মুজিব কর্ণার প্রতিষ্ঠা করার কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মনে করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সঠিক ইতিহাস দেশের মানুষ ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা জানতে পারবেন।’

প্রধানমন্ত্রী ভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আনসার সদস্যদের বীরত্বের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিব নগরের আম্র কাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এই বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত।

বঙ্গবন্ধু কন্যা ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৬৭০ জন বীর আনসারসহ সকল শহীদদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আনসার-ভিডিপির বিরাট অবদান
হ্যাটট্রিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে আনসার ও ভিডিপির বিরাট অবদান রয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত এই সংগঠনটি সাধারণত ট্রেনিং নেয় এবং নিজ নিজ গ্রামে যায় এবং সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রেখে যান। আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, দায়িত্বও বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। আনসার ভিডিপি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখে চলেছে। বিমানবন্দর, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নিরাপত্তা দিচ্ছে।

বিভিন্ন কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দেশের বিশিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আনসার বাহিনীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ করছি সেখানে পদ্মাসেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে নিরাপত্তায় আনসার বাহিনীর অসামান্য অবদান রয়েছে।’

বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস প্রতিরোধে আনসার সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যখন বাস, গাড়ি রিকশা, ভ্যান, এমনকি রেলগাড়ি, রেললাইনে অগ্নিসন্ত্রাস চালাচ্ছিল, আগুন দিচ্ছিল, আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারছিল, তখন রেললাইনের দায়িত্ব আনসার ভিডিপিকে দেয়া হয়েছিল। তারা তা যথাযথভাবে পালন করে যান। এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে অনেককে জীবনও দিতে হয়েছে। তাদেরকেও আমি স্মরণ করছি।’

বেড়েছে মাথাপিছু আয়, শক্তিশালী অর্থনীতি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিও যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি আনসার-ভিডিপির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কাজেই সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি।’

সরকারপ্রধান এই প্রসঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও এই অঞ্চলের মানুষকে জলবায়ুর অভিঘাত থেকে মুক্ত রাখা এবং উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নেও তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথাও দৃঢ়চিত্তে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই পরিকল্পনা আমি দিয়ে গেলাম যেন বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আর কখনো কেউ ব্যাহত করতে না পারে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ব্রডব্যান্ড প্রতি ইউনিয়নে পৌঁছে গেছে, মহাকাশে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি, অনলাইনে সমস্ত কাজকর্ম হচ্ছে। ভূমি পড়চা থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে। করোনার মধ্যে আর্থিক প্রণোদনাও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরাসরি প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি-সেভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না একটি মানুষও
মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সময়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। তাদের জন্য জমি দিচ্ছি, ঘর করে দিচ্ছি। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে আরো জালানোর যে ঘোষণা দিয়েছিলাম-সেই মোতাবেক ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।’

সন্ত্রাস-উগ্রবাদ দমনে আনসারের প্রশংসা
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত করতে চাই। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। আর এক্ষেত্রে এই বাহিনী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ ও মৌলবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ এবং আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়ন মানেই প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। প্রতিটি পরিবার স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করুক, সুন্দর ভাবে বাঁচুক-সেটাই আমরা চাই। সেজন্যই একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা একান্তভাবে প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ আনসার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’র ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভিডিপি সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, আমরা চাই তারা যার যার এলাকায় গিয়ে কাজ করবেন। আর একটি বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি ‘বাংলাদেশ আনসার ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’ নামে একটি ফান্ড গঠন করা হবে।

যারা অসুবিধায় পড়েন বা বয়োবৃদ্ধ হয়ে পড়লে ওই ট্রাস্ট থেকে যাতে সাহায্য সহযোগিতা করা যায় সেজন্য সীড মানি দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড আমরা করে দেব। একই সঙ্গে আনসার ও ভিডিপি একাডেমীতে অবস্থিত ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার স্কুল এবং কলেজে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পাঠদানে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা এ সময় ক্রীড়া ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্যের জন্য ‘স্বাধীনতা পদক’ অর্জন করায় আনসার সদস্যদেরকে অভিনন্দন জানান।

নিজের সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার যেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয় সে পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে আনসার ও ভিডিপি বাহিনীকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

যেহেতু তাদের কো-অপারেটিভ এর প্রশিক্ষণ থাকে সেজন্য তাদেরকেও আমরা সম্পৃক্ত করেছি। এর ফলে অনেক পরিবারই এখন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এটি দেশের দারিদ্র্য বিমোচনেও বিরাট অবদান রাখছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নটা গতিশীল হচ্ছে।’

আনসার ভিডিপি ব্যাংক প্রতিষ্ঠাসহ পদোন্নতি, উন্নত প্রশিক্ষণ, রেশন প্রভৃতি ক্ষেত্রে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার এবং তাদের উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপেরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে আনসার একাডেমীতে নব-নির্মিত ‘মুজিব প্রাঙ্গন’, কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আনসার সদস্যদের বিভিন্ন স্থাপনারও উদ্বোধন করেন।

কালের আলো/এমএএএমকে