‘আইকন’ সজীব ওয়াজেদ জয় : কর্মীবান্ধব তারকা রাজনীতিক
প্রকাশিতঃ 10:21 am | February 20, 2022

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর :
দলের প্রতি শতভাগ নিবেদন করেছেন নিজেদের। ভেঙেছেন চিরায়ত রাজনীতির ধারা। প্রত্যেকেই কর্মীবান্ধব, দায়িত্বশীল এবং প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিক। এক কথায় পরিপাটি, স্বপ্নবাজ এবং বাগ্মী রাজনীতিকের প্রতিচ্ছবিও তাঁরা। বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিন-রাত একাকার করেই কাজ করছেন।
পরিচ্ছন্ন ইমেজের এসব তরুণ রাজনীতিকের ‘আইকন’ একজন। তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। বঙ্গবন্ধুর এই দৌহিত্রের আধুনিক ও অগ্রসর চিন্তা-ভাবনা, সাহস, শৌর্য-বীর্য ও বীরত্ব তাদের আলোড়িত-আন্দোলিত করে প্রতিক্ষণ।
অভিন্ন কন্ঠে সবাই বলেন, ‘দেশের লাখ লাখ তরুণের প্রাণে স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। টেক বিশ্বে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রযুক্তি আর কনটেন্ট, তরুণদের হাতে তিনি দিচ্ছেন নব নব আইডিয়া। এই মেধাবী তারুণ্যের হাত ধরেই সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।’
এসব তারকা রাজনীতিক নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন। জ্যেষ্ঠদের প্রজ্ঞা ও পরামর্শের সঙ্গে নিজেদের ক্যারিশমা, সততা, সাহস ও উদ্দীপনায় রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূত্রপাত করেছেন।
বলা হচ্ছে- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, বাগেরহাটের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ফরিদপুরের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু’র কথা।
জুনাইদ আহমেদ পলক
২০০৮ সালের নির্বাচনে দিনবদলের সনদ বা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান তুলে শেখ হাসিনা যখন ব্যালট বিপ্লবে অভিষিক্ত হয়ে ক্ষমতায় এলেন তখন অনেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ভ্রূ কুঁচকেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাতে ঠিকই সফল হয়েছেন।
এক্ষেত্রে তার পুত্র হার্ভার্ড পাস তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় উপদেষ্টা হিসেবে মায়ের পাশে থেকে প্রযুক্তি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সফল বাস্তবায়নের রূপকার তাঁরই সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়। এক্ষেত্রে আরও একটি নাম সবার মুখে মুখে ফিরে। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
নির্মোহ মন মননের স্বপ্নবান সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের আইসিটি খাতে পরিবর্তনের স্থপতি। তাঁর দূরদর্শী ভাবনা-চিন্তার আলোকেই বিশ্ব যোগাযোগ আর গতিময় জীবনযাপনের পথনকশা মিলেছে। এই কাজে তাকে সব রকমের সহায়তা দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী পলক। ২৪ ঘন্টা কর্মমুখর এই মন্ত্রী সরকারের সফল মন্ত্রীদের তালিকায় অগ্রভাগেই ঠাঁই দিয়েছেন নিজেকে। দেশের তরুণদের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশন-মিশন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
এই প্রতিমন্ত্রী সব সময়ই বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে শ্রম নির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পূর্ণাঙ্গ-স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল লেনদেন নগদের বদলে ডিজিটাল মাধ্যমে করা এবং সকল সরকারি সেবা অনলাইনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়ে এখন কাজ চলছে।’
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া
কর্মীবান্ধব রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষতার সঙ্গেই নিজ দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন বিপ্লব বড়ুয়া। প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ সহকারী আদতে ‘ফুল টাইম’ রাজনীতিক। দলের তৃণমূলের নেতা- কর্মীদের জন্য তার দূয়ার উন্মুক্ত। নিয়মিতই দলীয় অফিসে সময় দেন। রাজনীতিতে তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা, পরিশ্রম ও ইতিবাচক নানা কর্মকান্ড নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করেছে।
রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক। মহামান্য রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠ সন্তান হলেও দাম্ভিকতা বা অহংবোধ নেই মোটেও। হাওরের মাটি-আলো-বাতাসে দিনের পর দিন পরিণত হয়েছেন। হাওরের আপামর মানুষের কাছে ‘ভাটির রত্ন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। হাওরের মানুষের সঙ্গে প্রাণের মায়ায় জড়িয়ে কেড়েছেন সবার মন।
শেখ সারহান নাসের তন্ময়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়। সুদর্শন, হাস্যোজ্জ্বল ও সুবক্তা হিসেবে স্বল্প সময়েই পরিচিতি পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে তাকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাগেরহাট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য সময়ে সময়ে কথা বলেন যুক্তিপূর্ণ ভাষায়। সম্ভাবনাময় এই রাজনীতিক তরুণ প্রজন্মের কাছেও জনপ্রিয়।
নিক্সন চৌধুরী
স্পষ্টভাষী রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। সবাই চিনেন নিক্সন চৌধুরী নামে। ফরিদপুর-৪ আসন থেকে টানা দু’বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এলাকা তো বটেই দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা থাকায় পুরস্কৃতও হয়েছেন। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগমের নাতি তিনি। তার ভাই নূরে আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) নিজেও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ। তাঁর অনেক সমালোচক থাকলেও সব সময় জনগণের মনের ভাষাতেই কথা বলেন নিক্সন। ফলশ্রুতিতে তরুণ-যুবাদের কাছে তিনি বরাবরই এক আকর্ষণীয় রাজনীতিক।
আতিকুল ইসলাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) টানা দু’বার নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেধা, প্রবল সাহস ও গভীর আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নিরহংকারী এই নগর পিতা সবশ্রেণির মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। নগরবাসীর সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ রিলেশনশিপ স্থাপনের প্রয়াস নিয়েছেন। আধুনিক ও তিলোত্তমা ঢাকা গড়তে তাঁর প্রয়াস নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গোটা নগরবাসীর কাছেই তিনি জনপ্রিয়। নিজেকে নগর পিতার বদলে ‘নগর সেবক’ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
মো: ইকরামুল হক টিটু
হৃদয় দিয়ে হৃদয় কিনতে জানেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.ইকরামুল হক টিটু। সুন্দর ও বাসযোগ্য ময়মনসিংহ গড়তে এই নগর পিতা দিন-রাত একাকার করে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সাহস ও পরিশ্রম দিয়েই গতানুগতিক রাজনীতির ধারা পাল্টে দিয়েছেন। দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীরও আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপত্য স্নেহে উন্নয়ন বিপ্লব সংঘটিত করেছেন ময়মনসিংহে। দলের বাইরেও সাধারণ মানুষের কাছে মেয়র টিটুর প্রশ্নাতীত গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি জনবান্ধব রাজনীতিক হিসেবেও অনন্য। সমকালীন রাজনীতিতে এই নেতা তরুণ-যুবাদের কাছে ‘রোল মডেল’। সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছেই ‘প্রিয় মুখ’ এবং ‘আশার বাতিঘর’।
কালের আলো/এএসবি/এমএম