ডিএমপির ৪৭ বছরের গৌরবময় পথচলা

প্রকাশিতঃ 10:59 am | February 26, 2022

মো.গোলাম কিবরিয়া মন্ডল :

৪৬ বছর পেরিয়ে ৪৭ বছরের গৌরবময় পথচলা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ এই ইউনিটটি মাত্র ১২টি থানা নিয়ে ১৯৭৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিল। করোনার কারণে ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের নির্ধারিত দিনে কোন অনুষ্ঠান হয়নি।

আরও পড়ুন: বাস্তবায়ন হচ্ছে আইজিপির ৫ দফা নির্দেশনা, ঐকান্তিক মিলনের শপথে ডিএমপি কমিশনার

৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আয়োজন করা হয়েছে এক নাগরিক সম্মিলনের। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো: আখতার হোসেন ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।

এদিন বেলা ৩ টার দিকে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের বৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭৬ সাল থেকে জনবহুল রাজধানী ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে, সৃজনশীলতা এবং জনঅংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এই নগরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ইউনিটের সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডিএমপির সদস্যরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মতো সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সরব উপস্থিতি পুলিশি সেবাকে নগরবাসীর দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে।

কালের আলো/এসবি/এমএম