কঙ্গোয় বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের আয়োজনে স্কুল প্রমোশন প্রোগ্রাম

প্রকাশিতঃ 9:23 pm | May 16, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কঙ্গোর ইতুরী প্রদেশে শান্তিরক্ষার পাশাপাশি নানা সামাজিক কাজে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ইতুরীর বুনিয়া শহরের গ্রীন স্পেস এপো ভিলেজে স্থানীয় এনজিও’র যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহের প্রতি রবিবার স্কুল প্রমোশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ মে) ব্যান হেডকোয়ার্টার সাপোর্ট এন্ড সিগন্যাল কোম্পানীর সার্বিক সহায়তায় স্কুল প্রমোশন প্রোগামের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে নর্দান সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুহসিন আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ০৬ মার্চ মনুস্কোর নর্দান সেক্টর এবং এ ই জে আই (AEJI) নামক স্থানীয় একটি এনজিও’র যৌথ উদ্যোগে আয়োহিদ এ স্কুল প্রমোশন প্রোগ্রামে ইতুরী প্রদেশের ২১টি সম্প্রদায়ের সর্বমোট ৬৪টি স্কুলের প্রায় ৩০,০০০ শিক্ষার্থী স্বপ্রণোদিতভাবে অংশগ্রহণ করে।

জানা গেছে, এ সকল অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ব্যানআরডিবি এবং ব্যান হেডকোয়ার্টার সাপোর্ট এন্ড সিগন্যাল কোম্পানী প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা প্রদান করেছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডার অনুষ্ঠানে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ০৪টি স্কুলকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুহসিন আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত তরুন সমাজকে কঙ্গোর শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের অবদান ও আত্নত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী শান্তিরক্ষার পাশাপাশি কঙ্গোর সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান, আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ছাত্রদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

কমান্ডার কঙ্গোর শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষায় আত্নত্যাগকারী বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বুনিয়া শহরের মেয়র, মনুস্কোর হেড অব অফিস, ব্যান হেঃকোঃ সাপোর্ট এন্ড সিগন্যাল কোম্পানীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, কঙ্গো সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং বিপুল সংখ্যক তরুন-তরুনী অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বিপুল সংখ্যক তরুন তরুনীর আনন্দঘন উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে, যা কঙ্গোতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রতীয়মান। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সম্পৃক্ততা ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা প্রদান কঙ্গোর সাধারণ জনগণের নিকট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

কালের আলো/ডিএসবি/এমএম