নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সারাবিশ্বের মতো ডি আর কঙ্গোর নর্দান সেক্টর মনুস্কোতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। নর্দান সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুহসিন আলমের নেতৃত্বে এই বিশেষ দিবস উপলক্ষে বুনিয়ায় এ্যান্ড্রোমো ক্যাম্প সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

রোববার (২৯ মে) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ এবং ইউএন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটির কর্মসূচী শুরু হয়। পরবর্তীতে নর্দান সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহসিন আলম শহীদ স্কয়ারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং ডি আর কঙ্গোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এখন পর্যন্ত ডি আর কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ জন চৌকষ সেনাসদস্য শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আত্মত্যাগ করেছেন।

জানা গেছে, দিবসটির কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ্যান্ড্রোমো প্যারেড স্কয়ারে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহসিন আলম প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৩২ মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডার, এফএআরডিসি, নর্দান সেক্টর অফিস প্রধান, পুলিশ প্রধান ইতুরি, বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এবং অন্যান্য গণ্যমান্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন নর্দান সেক্টর, মনুস্কো এর বাংলাদেশী এবং নেপালী কন্টিনজেন্টদের সদস্যবৃন্দ।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহসিন আলম নিজের বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং শুরু থেকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সফলতা ও পেশাদারিত্বের অনন্য উদাহরণের গল্প উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অদ্যাবধি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অগ্রদূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি এই সেনাবাহিনীর মাধ্যমেই ডি আর কঙ্গোতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। জাতির জনক এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পতাকা মাথা উঁচু করে উড়ছে ডি আর কঙ্গোতে।

এছাড়াও ব্রিগেডিআর জেনারেল মুহসিন আলম বর্তমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের মিশন দর্শন এবং মতবাদ সকলের মাঝে তুলে ধরেন।

কালের আলো/ডিএস/এমএম