১৭ জেলা প্রশাসককে পাল্টে দেওয়ার দাবি বিএনপি’র

প্রকাশিতঃ 9:18 pm | November 22, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৯০ জনের অধিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।  এদের মধ্যে রয়েছেন ১৭ জন জেলা প্রশাসকও।

বৃহস্পতিবার বিএনপির প্যাডে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষরিত এক চিঠি দেয়া হয় নির্বাচন কমিশনে। এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক চিঠিতে পুলিশের ৭০ জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে যাদের প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদও।

প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি)র কাছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল চিঠি জমা দেয়ার পর বলেন, ‘আমরা ঢালাও অভিযোগ করি না। আজকে লিখিতভাবে সব তথ্যপ্রমাণসহ দিয়ে গেলাম। গণহারে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হচ্ছে। এদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে।’

বিএনপির চিঠিতে যাদের নাম
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ, সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম আব্দুল মান্নান, বিভাগীয় কমিশনার খুলনার লোকমান হোসেন মিয়া, ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসাইন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, ফেনীর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরোয়ার মোর্শেদ চৌধুরী, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাওনাইন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, ঝিনাইদাহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, খুলনার জেলা প্রশাসক হেলাল হোসাইন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আছলাম হোসাইন, নড়াইলের জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক জাকির হোসাইন, নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক।

চিঠিতে বলা হয়, ‘তফসিল ঘোষণার আগে এবং পরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। অথচ তফসিল ঘোষণার আগে সরকারি দলের সমর্থক কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন স্তরে যেভাবে প্রশাসন সাজানো হয়েছে তা এখনো বহাল যা, প্রতিশ্রুতির বিপরীত।’

কালের আলো/এনএম