অফুরান দেশপ্রেমেই অনন্য উচ্চতায় মুজিব কন্যা
প্রকাশিতঃ 9:49 am | July 16, 2022
এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর :
বাবা বাঙালি জাতির চির আরাধ্য পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই তিনি দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। নিজের পঁচাত্তর বছরের পুরোটা জীবন ন্যস্ত করেছেন কেবলই দেশ মাতৃকার জন্য। জীবনের সেই প্রারম্ভেই পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-সংগ্রামী জীবনকে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস, যেদিন অবরুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্র
১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুভয়কে পায়ের ভৃত্য করে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশ মাতৃকার জন্য। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেকে সমর্পণ করেছেন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খার বাতিঘর এই মুজিব কন্যা। সংগ্রাম, ধৈর্য্য, ত্যাগ, পরিশ্রম আর অফুরান দেশপ্রেম-এই পাঁচ গুণের সমন্বয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেকে স্বগৌরবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে।
নিজের নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করার মধ্যে দিয়ে বিজয়ের ৫০ বছর পাড়ি দিয়ে অর্থ-বাণিজ্যের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্ববাসীকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আর প্রতিটি অর্জনেই সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সেই কুশীলবদের ‘টার্গেট’ ছিল ‘মাইনাস শেখ হাসিনা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই করোনা অতিমারিতেও দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা ছিল সচল। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৈন্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতি ও রাষ্ট্রকে তিনি নিজের গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় এত উঁচুতে নিয়ে এসেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যার সফল নেতৃত্বেই উন্নয়ন-অগ্রগতি মহাসোপানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেবল দেশের মানুষই নয়, বিশ্ব নেতাদের কাছেও বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তাই সারাদেশে এখন শুধু একটাই স্লোগান- ‘শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আবেগময় সেই চিঠিই তরান্বিত করে মুক্তি আন্দোলনকে!
মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘সাড়ে ৭ কোটি মানুষেরে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ সেই বাংলাদেশে আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার শক্তি প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। আর এ কারণে তিনিও বলছেন, ‘ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারি আসবে। সেগুলো মোকবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সঙ্কট যত গভীরই হোক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎড়ানো কোন কঠিন কাজ নয়।’
কালের আলো/এমএএএমকে