’হাইকোর্টে দণ্ড স্থগিতের বিধান নেই’
প্রকাশিতঃ 2:31 pm | November 26, 2018
আদালত প্রতিবেদক, কালের আলো:
বিচারিক আদালতে দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তা ‘স্থগিতের বিধান নেই’ বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, চাইলে আবেদনকারী আপিল বিভাগে যেতে পারেন। আপিল বিভাগ এ ব্যাপারে একটা প্রিন্সিপাল সেটেল করতে পারেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট সেটা অনুসরণ করতে পারে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘তার দণ্ড স্থগিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যেটা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। যার ফলে তার দণ্ড বহাল আছে। যদি আজকে তার সাজাটা স্থগিত হতো তাহলে রাজনৈতিকভাবে যারা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আছে তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতো। আজকের আদেশের ফলে তাদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগটা থাকলো না। আদালত বলেছেন, আপনারা ইচ্ছা করলে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যেতে পারেন। আপিল বিভাগ এ ব্যাপারে একটা প্রিন্সিপাল সেটেল করতে পারেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট সেটা অনুসরণ করতে পারে।’
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন,‘এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াসহ অন্যরা যাদের সুপ্ত ইচ্ছা ছিল হাইকোর্ট থেকে দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেই ইচ্ছাটা আপাতত বাতিল হয়ে গেল।’ তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির এমন কোনো সেকশন নেই যেটা অনুসরণ করে সাজাটা স্থগিত করা যাবে। যার কারণে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়ে তার আবেদন খারিজ করেছেন।’
২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাকা চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখররুল ইসলামকে ১০ বছর এবং ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্য দুই আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান। ব্যারিস্টার ফখরুলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস এবং অন্য চারজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস করে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।
এ দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এদিকে তার আপিল বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। যেটা সোমবার খারিজ হয়ে যায়।
কালের আলো/এএ/এমএইচএ