যাদের ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা হয়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী : প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিতঃ 5:56 pm | August 15, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

যাদের ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা হয়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। তিনি বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে গভীর ভালোবাসায় মিশে আছেন। কিন্তু এই জাতি, রাষ্ট্র যিনি করলেন, আমরা কেমন করে তার বুকে গুলি চালালাম? আজও বুঝতে পারলাম না।

হোমজাতীয়
যাদের জয় বাংলা বলতে লজ্জা হয়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী: প্রধান বিচারপতি
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ আগস্ট ২০২২, ১৪:৩৪

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

যাদের ‘জয় বাংলা’ বলতে লজ্জা হয়, তারা স্বাধীনতাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই শোকের দিনে আমার মনে পড়ে, বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন সময়ে দেওয়া ভাষণে দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি ও কালোবাজারিদের দেশ ও জাতির শক্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, আসুন, আমরা এই মহান নেতার আদর্শে দীক্ষিত হয়ে দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারিদের প্রতিহত করি। সামাজিকভাবে প্রত্যাখ্যান করি। ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করি। দেশের মানুষ যেন স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে ন্যায়বিচার পায় সেই লক্ষ্যে কাজ করি। সবাইকে এই শপথগ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানাই।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন– সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

এর আগে এদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।

কালের আলো/বিএএ/এমএম