‘সৌভাগ্যবান’ ডিএমপি কমিশনার, অপরাধ ব্যবস্থাপনার দক্ষতার প্রশংসায় ডিবি কর্মকর্তারা!
প্রকাশিতঃ 9:38 am | November 06, 2022

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের দক্ষতায় তিনি উজ্জ্বল। বহুমুখী যোগ্যতার অধিকারী এবং প্রবল আত্মবিশ্বাসী। কথা এবং কাজের মিল রেখে পথ চলেন। বুদ্ধিমত্তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, সাহস ও শৃঙ্খলাবোধের সমন্বয়ে নিজেকে বিনির্মাণ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।
সপ্তাহখানেক আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। নিত্যদিনই পার করছেন ব্যস্ত সময়। এরই মধ্যে শনিবার (০৫ নভেম্বর) সকালে প্রথমবারের মতো ডিএমপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা কার্যালয়ে পরিদর্শন করে ঝানু গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সেরেছেন নতুন ডিএমপি কমিশনার।
সক্ষমতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ডিএমপি ডিবি প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেদের। প্রত্যাশার পারদে যোগ করছে নতুন মাত্রা। শুধু কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী নিজ ইউনিটের অত্যন্ত পরীক্ষিত গোয়েন্দা বিভাগকে নিয়ে আনন্দের সঙ্গে দীপ্ত চেতনাবোধের অমিত সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত করে খন্দকার গোলাম ফারুক বললেন, ‘আমি ডিএমপিতে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছি। ডিএমপির বাইরে কাজ করার সময় ডিবি ডিএমপির অনেক প্রশংসা শুনেছি। যেকোনো চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন করার সক্ষমতা রয়েছে ডিবির। ডিএমপি ডিবির সক্ষমতা অনেক উঁচু স্তরে।’

সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে গ্রহণ করে আগামীর কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ার আবাহনের আগে নিজের সহকর্মী গোয়েন্দাদের শুভেচ্ছা জানালেন। তাদের কীর্তি ও কৃতিত্বকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন যেমনি তেমনি অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে নিবিড়ভাবে কাজ করতে নির্দেশনাও দিয়েছেন এই ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেছেন, ‘ডিএমপি কমিশনার হওয়ার পর সেই প্রশংসিত ডিবির অফিসারদের সাথে বসতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। অপরাধের ধরণ পরির্বতন হচ্ছে, সাইবার ক্রাইম বাড়ছে, এ সকল অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে ডিবিকে কাজ করতে হবে।’ ডিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন তিনি।
‘পারফেক্ট ম্যান ইন পারফ্যাক্ট প্লেস’। ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো রে ভুবন’, যেন কবি কন্ঠের মতোই কর্মে সাফল্যে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো নতুন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। প্রতীক্ষার পালা শেষে রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা, শান্তি ও স্বস্তির প্রতীক ডিএমপির সোনালি দিনের কারিগর। অনেক স্বপ্ন, সম্ভাবনার নতুনের কেতন ওড়ানো অন্তর্নিহিত প্রতিফলনের কাণ্ডারি।
যারপরেনাই ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সঞ্জীবনী শক্তির নির্যাসে সম্ভাবনার সমুজ্জ্বল কন্ঠে বলেন, ‘আপনি বাংলাদেশ পুলিশের অহংকার। আপনার অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডিএমপির কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ঢাকা মহানগরের সম্মানিত নগরবাসী যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য আপনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি।’

সবার সহযোগিতা ও সম্মিলিত কর্মপ্রবাহেই ডিএমপির ডিবি নগরবাসীর নিকট এক আস্থার নাম, বলেন ডিবিপ্রধান। পাশাপাশি কোন অপরাধ ঘটলে ডিবি শুধু মহানগরীতেই নয়, বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে কাজ করে বলেও মন্তব্য করেন।
সততা, সাহসিকতা, উচ্চকিত প্রত্যয়, মানবিক মূল্যবোধ, সর্বজনীন চিন্তন আর অপরাধ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতায় উচ্চ নেতৃত্বের আসনে আসীন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তাই শ্রদ্ধা-ভালোবাসার রেখাচিত্রে প্রবাহমান স্রোতধারায় গৌরবোজ্জ্বল অভিব্যক্তি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামানের।
তিনি বলেন, ‘আপনি ক্রাইম ম্যানেজম্যান্টে দক্ষ কর্মকর্তা। ২০১৫ সালে জঙ্গি তান্ডবে যখন রংপুরে জাপানি নাগরিক নিহত হন, তখন আপনার নেতৃত্বে মামলাটির রহস্য উদঘাটিত হয়।’

‘ডিএমপিতে কোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ডিএমপির ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাটি উদঘাটিত না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হয় না ডিবি পুলিশ। ডিবির সক্ষমতা আছে, আপনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পেলে আরো এগিয়ে যাবে’- যোগ করেন আসাদুজ্জামান।
এর আগে সভায় ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায় ডিবি ডিএমপির সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং একই সঙ্গে ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনসহ কিছু দাবি উল্লেখ করেন।

কালের আলো/এমএএএমকে