ওয়ালটন মোবাইল ফোন কারখানা চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
প্রকাশিতঃ 12:14 pm | October 05, 2017
বার মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশীয় পণ্যখাত ওয়ালটন পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে যোগ হচ্ছে আরও একটি পণ্য মোবাইল। দেশেই স্মার্টফোন তৈরির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) মোবাইল ফোন তৈরির কারখানা উদ্বোধন করবে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ইতোমধ্যে স্মার্টফোনের পরীক্ষামূলক উৎপাদনও শুরু হয়েছে কারখানায়।
ওয়ালটন সূত্র জানিয়েছে, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত কারখানাটি উদ্বোধন করা হবে আগামীকাল। কারখানাটি চালুর মাধ্যমে দেশেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত হ্যান্ডসেট তৈরির দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে।
মোবাইল প্রযুক্তি সংশ্নিষ্টরা বলছেন, মোবাইল ফোনের মতো হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তোলা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; দেশের জন্যও মাইলফলক। এর ফলে এ খাতে আমদানিবাবদ ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার বড় অংশ সাশ্রয় হবে। বাড়বে রফতানি আয়। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশেই তৈরি হবে এ খাতের দক্ষ জনবল। গড়ে উঠবে আনুষঙ্গিক ব্যাকওয়ার্ড শিল্প। ফোন ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের স্মার্টফোন পাবেন এমনটিই তাদের ধারণা।
প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কারখানার অবকাঠামো নির্মাণ, হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ স্থাপন, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বার্ষিক ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট তৈরির উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। যেখানে স্থাপন করা হয়েছে ৬টি প্রোডাকশন লাইন। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ১০টি প্রডাকশন লাইন স্থাপনের কাজ। কারখানায় বসানো হয়েছে জাপান ও জার্মানির প্রযুক্তির মেশিনারিজ। প্রাথমিকভাবে সহস্রাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে ওয়ালটনের নতুন এই স্মার্টফোন কারখানাটিতে। এমনটিই জানলেন ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন তৈরি করা হবে এখান। তবে চাহিদা থাকলে ফিচার ফোনও তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে ৬টি মডেলের স্মার্টফোন অ্যাসেম্বিলিং করা হবে বলে জানান, ওয়ালটন মোবাইল ফোন বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ফাহিম রশিদ। তবে আগামী বছর থেকে পূর্ণাঙ্গ হ্যান্ডসেট উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ধাপে ধাপে হ্যান্ডসেটের ডিসপ্লে, বডি, চার্জার, ইয়ার ফোন, ব্যাটারি, ইউএসবি কেবলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।