পাঁচ কোটি টাকার অস্ত্র আছে কামাল মজুমদারের!

প্রকাশিতঃ 4:40 pm | December 07, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের কাছে পিস্তল, শটগান রয়েছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা মূল্যের, যা বিগত দশ বছরে ছিল মাত্র ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা মূল্যের। এ ছাড়া ১ হাজার টাকা দরে তার কাছে প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ আছে।

নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কাছে থাকা পিস্তল ও শটগানের মূল্য ছিল ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা, যা বর্তমানে রয়েছে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ৬৪ হাজার ৮৭৩ টাকা মূল্যের। এ ছাড়া আগের হলফনামায় তার নামে স্বর্ণ ও অন্যান্য অলঙ্কার ২০ ভরি সমপরিমাণের দাম দেখানো হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর নামে ১০ ভরি স্বর্ণের দাম দেখানো হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। এবার নিজের স্বর্ণের পরিমাণ ও মূল্য একই দেখিয়েছেন তিনি। এ হিসাবে প্রতিভরির মূল্য পড়ছে ১ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর নামে আগে ১০ ভরি থাকলেও এখন তা নেই।

এবারের হলফনামায় কৃষি খাত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৩৩ হাজার ১০০ টাকা, যা আগের তুলনায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৯০০ টাকা কম। ব্যবসায় আয় ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৪ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ ৩ হাজার ৩২ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৪৯৯ টাকা। আর সাংসদ হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৩০০। সব মিলিয়ে এই ক্ষেত্রে ১০ বছরে তার আয় বেড়েছে ৬৪ লাখ ৪৩ হাজার ১২৩ টাকা।

এ ছাড়া নগদ অর্থ রয়েছে ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৪৮ লাখ ১ হাজার ৩৭৫ টাকা। স্ত্রীর নামে আগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৫ টাকা নগদ থাকলেও বর্তমানে কোনো অর্থ নেই।

এ ছাড়া ১০ বছরে সাংসদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ লাখ ৩ হাজার ৯৩২ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ১১৪ টাকার। বাস, ট্রাক, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের আর্থিক মূল্য বেড়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আগের ও বর্তমান হলফনামাতে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার আসবাবের কথা উল্লেখ আছে। সব মিলিয়ে এবারের হলফনামায় সাংসদের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭১ টাকার। ১০ বছর আগের তুলনায় যা ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৫৪৪ টাকা বেশি।

এ ছাড়া আগে ৬ হাজার ১৬১ দশমিক ২৩ শতাংশ জমির মূল্য দেখানো হয়েছিল ২৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬০ টাকা, যা অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের হলফনামায় ২৪৪ দশমিক ৯০ শতাংশ অকৃষিজমি দেখানো হলেও এবার তা দেখানো হয়নি। আগের হলফনামায় ২ কোটি ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫১৮ টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ৪৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন ভাড়া বাবদ নেওয়া অগ্রিম অর্থের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৯৪ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৬ টাকা। ১০ বছর আগের তুলনায় যা ৪৯ লাখ টাকা বেশি।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ