জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাচারী কুপাঘাতে আমরা কেন বলির পাঁঠা হব ?

প্রকাশিতঃ 12:44 am | February 02, 2018

মিঠুন সরকার মিঠু:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের “চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স” এর ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ প্রশাসন সুস্থ মস্তিষ্কে দিয়েছেন কিনা সন্দেহ জাগে। শুধুমাত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় নেমে নিজেদের ইচ্ছামত রুল জারি করে এত এত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত কালো করার কোন মানে হয়?

যদি ফার্স্ট, সেকেন্ড কিংবা থার্ড ইয়ার হতো তাহলে তা তর্কসাপেক্ষে গ্রহনযোগ্য হলেও হতে পারতো। কেননা সেগুলোতে ইম্প্রোভ দেওয়ার সুযোগ আছে। এক ইয়ারের ক্ষত আরেক ইয়ারে পুষিয়ে নেওয়া নেওয়া যায়। কিন্তু ছ’মাসের মাথায় ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার তারিখ দিয়ে মাননীয় ভিসি কি রকম নৈতিকতার পরিচয় দিলেন সন্দেহ জাগে।

যে জায়গায় ফরম ফিলাপের ২০ দিন পর পরীক্ষার রুটিন দেওয়ার কথা,সে জায়গায় সপ্তাহন্তের মধ্যে থার্ড ইয়ারের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নেওয়ার উদ্ভুত নীতি কিভাবে আসে?

যারা কিছুই পড়েনি তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম,যারা সব মুখস্ত-ঠোঁটস্থ করে রেখেছে-তাদেরওতো রিভিশন দেওয়ারও সময় নেই।
আর যাদের থার্ড ইয়ারে ইম্প্রোভ আছে তাদের অবস্থা তো “শাখের করাত” এর মতো।
ইম্পোভ পড়বে? না ফাইনাল ইয়ারের পড়া পড়বে? কোনটা রেখে কোনটা?

মাননীয় ভিসির কি জানা উচিত নয় যে, সরকার চাকুরীর ক্ষেত্র নির্দিষ্ট রাখলেও চাকুরী প্রত্যাশীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। চাকুরী পাবার নির্দিষ্ট বয়সসীমা দিলেও নির্দিষ্ট বয়সসীমা’র মাঝে সবাইকে চাকুরীর নিশ্চয়তা দেননি। এখানে একটা সরকারী-বেসরকারী-আধাসরকারী যেকোন জব পেতে হলে যুদ্ধ করতে হয়।

এখন যদি কোন শিক্ষার্থী প্রশাসনের ছেলেখেলা বাঁধা ধরা নিয়ম পালন করতে গিয়ে কি পড়েছে না পড়েছে বিবেচনা না করে চোখ বন্ধ করে পরীক্ষায় বসে অকৃতকার্য হয়,তাহলে তার একটা বছরের ক্ষতিপূরণ কে দিবে?
উত্তর আসবে “পড়াশোনা করেনি,তাই ফেল করেছে”। তাহলে পড়াশোনার জন্য যেটুকু সময় দেওয়ার কথা সেটুকু দিয়েছে কি?
সর্বসাকুল্যে, ভিসির মহোদয়ের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি,

আমাদের পরীক্ষা কম করে হলেও একমাস পিছানো হোক।

 

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত