অনন্য উৎসবে দেশের সকল সেনানিবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন, আন্ত:বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান
প্রকাশিতঃ 10:23 pm | March 17, 2023

কালের আলো রিপোর্ট:
বাঙালির প্রাণের স্পন্দনে চিরজাগরূক ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের তিথি। দিনভর অবনত মস্তক আর হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলার মুকুটমণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ১০৩ জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করেছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) অনন্য উৎসবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল সেনানিবাস ও বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে উদযাপন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। মাহেন্দ্রক্ষণটিতে উচ্চারিত হয়েছে-যতদিন চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, যতদিন পাখির কলকাকলি থাকবে- ততদিন অমর হয়ে রবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, দিনের প্রত্যুষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুস্পস্তবক অর্পণকালে সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্ত:বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুস্পস্তবক অর্পণকালে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আন্ত:বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ড.এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাসহ সকল সেনানিবাসের প্রতিটি প্রবেশ পথ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকাসহ সকল সেনানিবাস ও বৈদেশিক মিশনে অবস্থানরত কন্টিনজেন্টসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান, ৭ মার্চের ভিডিও চিত্র এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ প্রদর্শিত হয়।

ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য তিনি লাভ করেছিলেন সেই শৈশবে। আজও তাকে বুকে টেনে নেওয়ার সেই উষ্ণতা অনুভব করেন, নিজের জবানীতেই তুলে ধরলেন সেই স্মৃতিকথা। নিবিষ্ট মনেই সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান উচ্চারণ করলেন-‘১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে যাওয়ার এবং তাকে খুব কাছ থেকে দেখার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। শিশু হিসেবে তিনি আমাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। যার উষ্ণতা আমি আজও অনুভব এবং লালন করি।’
আইএসপিআর জানায়, এ দিনে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সেনানিবাসসমূহের সকল মসজিদে বাদ জুম’আ বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য এবং অসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনী পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতার জীবনীর ওপর আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কালের আলো/এএইচ/এমকে