এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে নিয়ে মিথ্যাচারের রহস্যভেদ
প্রকাশিতঃ 10:57 am | May 10, 2023
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
গোয়েবলস কায়দায় মিথ্যাচারের সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। প্রায় ২৭ বছর যাবত বৈধভাবে বসবাস করে আসা তাঁর গুলশানের বাড়িটিকে নিয়ে সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে তখন হন্তদন্ত একটি বিশেষ মহল। প্রচার করা হলো নানান অবাস্তব ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের চলমান ইস্যুতেও তাকে হেনস্থায় সত্যের মোড়কে মিথ্যাকে বেচা-বিক্রির তোড়জোড়! আদতে খুলনা-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের জলঘোলার সব আয়োজন হয়ে ওঠেছে দৃশ্যমান। পরিকল্পিত এসব মিথ্যাচারের রহস্যভেদ হয়েছে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে।
সেই ব্যক্তির দাবার চালে বিভ্রান্তি জনমনে
সূত্র জানায়, বিএনপির সাঈদ এস্কান্দারসহ একাধিক প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠভাজন এক প্রভাবশালীর কূটকৌশল থিওরিতে আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে ঘিরে মনগড়া আর ফরমায়েশী তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে কেউ কেউ ফৌজদারী আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করছেন কীনা এমন প্রশ্ন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাঁর চরিত্র হননের অপচেষ্টার করতে গিয়ে কোন কোন ব্যক্তি নিজেরাই নর্দমার চেয়ে দুর্গন্ধময় আবর্জনা হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছেন। নিয়মিত বমি উগলানোর শর্তে কাউকে না কাউকে পর্দার আড়ালের সেই ব্যক্তি ব্যবহার করছেন বিশেষ ম্যাকানিজমের মাধ্যমে।
এক্ষেত্রে ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁরা এক কাঠি সরেস! আবার গুটিকয়েক গণমাধ্যমও যেন খুলে বসেছে মিথ্যার দোকান! স্পষ্টতই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের টানা দু’বারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতেই জুয়েল আইচের চেয়েও বড় জাদুকরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন চিহ্নিত মহল বিশেষ।
সূত্র জানায়, আব্দুস সালাম মূর্শেদীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ অপতৎপরতায় তাঁরা দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২০০৯ সালের একটি ছবিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু এই ছবির নেপথ্যে বাস্তব সত্যকে আড়াল করা হচ্ছে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় প্রদশর্নী বাটেক্সপো আয়োজনে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র একটি রীতি ছিল। তিনদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। আর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকতেন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের সংসদ সদস্যদের নিয়ে ভেতরে বাইরে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এর মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা হচ্ছে দেদারসে। এই অপপ্রয়াসের অংশ হিসেবেই ওই সময় অনুষ্ঠানে তোলা সেই ছবিকে ব্যবহার করে সালাম মূর্শেদীর সাদা জামায় কালো দাগ লাগানোর মাধ্যমে অনৈতিক ফায়দা হাসিলের খোয়াব বুনছে চক্রটি। আর এমন অপপ্রচারে বিস্মিত ও হতবাক ব্যবসায়ী নেতারাও।
তারাও বলছেন, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। বিএনপির চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আওয়ামী লীগের এই জনপ্রিয় সংসদ সদস্যের সুনামহানির ‘মাস্টারপ্ল্যান’ হালে পানি পাবে না। কারণ, তাঁর পায়ের নিচে মাটি আছে, সুদৃঢ় ভিত্তি আছে। নীতি নৈতিকতাসম্পন্ন এই মানুষটি কলাগাছ নয় যে ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া সম্ভব। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের হাইকমান্ড এই চলমান ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তারাও পুরো বিষয়টি গভীরভাবেই পর্যবেক্ষণ করছেন।
রীতিমতো আবর্জনায় ঠাসা চলমান প্রোপাগান্ডা
বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে চিরভাস্বর আব্দুস সালাম মূর্শেদীর নাম। রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে চলতি বছরের মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) খুলনা জেলা ও মহানগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছিলেন, ‘অতুলনীয় প্রতিভাসম্পন্ন ও সর্বদিকে দক্ষ এক ব্যক্তিত্ব, যিনি একাধারে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জাতীয় দলের ফুটবলার; সেন্টার ফরোয়ার্ড। একজন সফল উদ্যোক্তা এবং জনপ্রতিনিধি- যার যেকোন একটি গুণ পেলে অনেকে নিজেকে ধন্য মনে করবেন। তিনি আর কেউ নন, আমার অত্যন্ত প্রিয় প্লেয়ার আব্দুস সালাম মূর্শেদী এমপি।’ ওই সম্মেলনে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ আব্দুস সালাম মূর্শেদীও শেখ ফজলে শামস পরশকে ‘যুবলীগের প্রাণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অভিজ্ঞ মহল বলছেন, জনপ্রিয় রাজনীতিক ও মাঠ কাঁপানো সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মূর্শেদীকে নিয়ে চলমান প্রোপাগান্ডা রীতিমতো আবর্জনায় ঠাসা। এর পেছনে কুরুচি ভান্ডারের এক পৃষ্ঠপোষক ও তার দোসরদের হাত রয়েছে। ব্যবসায়িকভাবে তিনি সালাম মূর্শেদীর দক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কাছে পর্যদুস্ত হয়েছেন। এখন তারা মোটা অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ করেছেন। তাদের লক্ষ্য এখন স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার। কিন্তু স্থানীয় ভোটারদের প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত খুলনা-৪ আসনের ভোটের মাঠের আসল নায়ক সালাম মুর্শেদীকে আবর্জনায় আকীর্ণ, কথার দুর্গন্ধযুক্ত বমিদূষণের মাধ্যমে ব্যাকডোর পলিটিক্সের মাধ্যমে রুখে দেওয়া আদৌ সম্ভব নয় বলেই মনে করেন সচেতন স্থানীয় ভোটাররা।
কালের আলো/এমএএএমকে