বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

আবেগ নয় মোটেও; একেবারেই বাস্তবতা। বুদ্ধির সঙ্গে যুক্তির যুগপৎ সম্মিলন। একজন মহিয়সী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনবদ্য উপস্থাপন। দিন-রাত একাকার করে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষর জন্য কাজ করে যাওয়ার ব্রতই মূল উপজীব্য। বিশ্ব পরিমণ্ডলে মাথা উঁচু করে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড়ানোর সংগ্রামী চরিত্র শেখ হাসিনাকে উপস্থাপনে চেনা স্টাইলেই আবারও নিজেকে মেলে ধরলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

দেশের নন্দিত এই রাজনীতিক নিজের জবানীতে তুলে আনলেন দেশের প্রয়োজনে একজন শেখ হাসিনা কেন অপরিহার্য এবং শেষ কথা। তাঁর ভাষ্যে- ‘বর্তমান টালমাটাল বিশ্ব পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য, শান্তি শেখ হাসিনা অপরিহার্য। বাংলাদেশ, বাঙালী ও শেখ হাসিনা সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছেন।’

জয়পুরহাট-২ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগকে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আনার মন্ত্র গেঁথে দিলেন তৃণমূলের মন-মননে। জাতীয় সংসদের এই হুইপ তথ্য-উপাত্তের নির্যাসে নতুন স্বপ্নে, বাঙালি জাতির এক জ্ঞানতাপস রাজনীতিবিদ, কোমল ও কঠিন দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিচক্ষণ রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোকিত বাংলাদেশের অদম্য পথচলায় দিনবদলের পানসিতেই থিতু হওয়ার বার্তাই দিলেন সবাইকে। যুক্তির আবহে প্রস্ফুটিত করলেন এমন মর্মবাণীও। সচকিত করলেন দল-মত নির্বিশেষে ভোটের মাঠের আসল শক্তিকে।

শুক্রবার (০৯ জুন) জয়পুরহাট-২ আসনের আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলার ৮টি গ্রামে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল এবং উন্নয়ন ও জন আকাঙ্ক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় যেন নতুন আশা আর সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন নিখাদ শব্দভাষ্যে জাগ্রত করলেন নিজ নির্বাচনী এলাকার তৃণমূলের মাটি ও মানুষকে। আলোড়িত করলেন সবার হৃদয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট গ্রামের পক্ষ থেকে একজন করে ব্যক্তি গ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে নানবিধ সমস্যা ও আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

সমগ্র বিশ্ববাসীর ওপর একযোগে দূর্যোগ-দূর্বিপাক
জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘১৯৪৫ সালে সমাপ্ত ২য় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি পর সমগ্র বিশ্ববাসীর ওপর একযোগে বর্তমান সময়ের মত দূর্যোগ-দূর্বিপাক নেমে আসেনি। মহামারী করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন, জ্বালানী তেলের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি, ইউএস- চায়না টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে মানব জাতির ওপর এক ভয়াবহ দূর্বিসহ নেমে এসেছে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে উন্নত, উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত সব শ্রেণীর দেশের জনগণ অস্বস্তিকর কাল অতিক্রম করছে। আমাদের মত সবেমাত্র নিম্ন মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের জন্য মানুষের ভালভাবে বেঁচে থাকাটা বড় চ্যালেঞ্জ।’

জাতীয় ঐক্য ও শান্তি সমুন্নত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাঙালির একজন শেখ হাসিনা আছেন। তিনি পরম ধৈর্যশীল, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তিনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সমস্যার গভীরের প্রবেশ করে সকল সমস্যা মোকাবেলা করার সৎ সাহসের অধিকারী, দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীপেশার নাগরিকদের ধারন করার গুণাবলীসম্পন্ন এক জ্ঞানতাপস রাজনীতিবিদ, কোমল ও কঠিন দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিচক্ষণ রাষ্ট্রনেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীক্ষ্ণ মেধা ও কঠোর পরিশ্রম করে বাংলাদেশের জনগণকে এখোনো অন্যান্য দেশের তুলনায় ভাল রাখতে পেরেছেন। অন্য কোন সরকার প্রধানের পক্ষে এটি সম্ভব নয়। অন্য দেশকে প্রভুমানা এ’দেশের গুটিকয়েক ব্যক্তি ছাড়া সকল দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের উৎপাদন, পরিবহন, সেবা খাতের চাকা চালু রেখে সম্ভাব্য সকল বিপত্তি থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে অসামান্য ভূমিকা পালন করছেন। অগণিত উস্কানি ও গুজবের মাঝেও রাষ্ট্র ও সমাজে পরমতসহিষ্ণু পরিবেশ বজায় রেখে জাতীয় ঐক্য ও শান্তি সমুন্নত রেখেছেন। বর্তমান টালমাটাল নির্মম বিশ্ব বাস্তবতায় দেশের জনগণের সুদৃঢ় ঐক্য, দেশপ্রেম ও শান্তি সমুন্নত রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কেবলমাত্র জাতির পিতার কন্যার পক্ষেই এটি সুদৃঢ় রাখা সম্ভব।

তিনি উৎপাদনমুখী, শান্তিমুখী এবং পরম মমতায় দেশ ও জনগণকে আগলে রাখার পরীক্ষিত নেতৃত্ব। দেশের কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী নাগরিকগণ, এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মাঠ কর্মী এবং সমর্থকরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। এতো বিপুল পরিমাণ বিশ্বাস ও গণআস্থা অন্য কোন রাজনীতিবিদের প্রতি নেই। কোন তথাকথিত সামাজিক ব্যবসায়ী বা বিশেষ বিশেষ বিদের প্রতি জনগণের কোন আস্থা নেই। এদের হাতে দেশ ছাড়লে দুই মাসের মধ্যে দেশ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের দিকে ধাবিত হবে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এসব সভায় বক্তব্য রাখেন- আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, জয়পুরহাট চেম্বার সভাপতি আলহাজ্ব আহসান কবীর এবলব, মেয়র শহীদুল আলম, কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, মেয়র রাবেয়া খাতুন, জেলা সহ সভাপতি জাহিদুল আলম বেনু, আব্দুল রারিক, আব্দুল কাদের, বেলাল হোসেন, হেলাল উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।

কালের আলো/আরআই/এমকে