৩০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: আপন জুয়েলার্সের গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিতঃ 6:56 pm | July 06, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে ঢাকার সমন্মিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, আপন জুয়েলার্সের মালিক আসামি গুলজার আহমেদ ২০১৮ সালের ২ জুলাই দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২২ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর এবং ৫০ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৮০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ৭১৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন করেছেন।

অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত তথ্য ও প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে আসামি গুলজার আহমেদের অস্থাবর সম্পদের মূল্য পাওয়া যায় ৫২ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ টাকা। অর্থাৎ তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শিত অস্থাবর সম্পদের চেয়ে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদ বেশী পাওয়া যায়।

দুদক সূত্র জানায়, এক্ষেত্রে আসামি গুলজার আহমেদ তার সম্পদ বিবরণীতে ওই ১ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের সূত্রটি বলছে, অনুসন্ধানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় গুলজার আহমেদ ২২ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৫২ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং ৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৭২ টাকার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ সর্বমোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

রেকর্ডপত্র মোতাবেক তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭ টাকা। আসামির অর্জিত মোট সম্পদ হতে দায়-দেনা বাদ দিয়ে নীট সম্পদের মূল্য পাওয়া যায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা।

অপরদিকে, অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্য ও রেকর্ডপত্র অনুযায়ী তার মোট বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ৫৫১ টাকা। এক্ষেত্রে, আসামির মোট অর্জিত সম্পদ হতে বৈধ আয় বাদ দিলে ৩০ কোটি ৫৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৯ টাকার সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আসামি গুলজার আহমেদ দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি