বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো :

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকায় মানুষের আস্থা আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছেন। সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকায় জনগণ সন্তুষ্ট।

বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, নির্বাচনের দিন কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষ নিরাপদে ছিল। সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হয় এমন কোনও কাজ হয়নি। সেনাবাহিনী নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে এক হাজার টহল পরিচালনা করেছে। যার ফলে মানুষ আশ্বস্ত হয়ে ভোট দিতে গেছেন। তবে সেনাবাহিনীর কাজ নির্ধারিত থাকায় সব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারে না।

জানা গেছে, রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে সেনা কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য আবাসন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বেশ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত আবাসনের জন্য কোন ভবন সেখানে নির্মিত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান। তিনি নির্বাচনী পরিবেশ এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সেনাবাহিনী কোন দলের পক্ষে কাজ করেনি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করাতেই ছিল তাদের মনোযোগ।

পরে সেনাপ্রধান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন।

এতে তিনি জানান, জলসিড়ি আবাসন প্রকল্প যাদের জমি নেয়া হয়েছে তাদের সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী প্রধান আদমজী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, জলসিড়ি পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ’র নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে সবার উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান বলেন, এ সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়ম অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর সদস্যের সন্তানদের পাশাপাশি যারা জমি দিয়ে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে তাদের এবং স্থানীয় অসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানরাও পড়ালেখার সুযোগ পাবে।

এছাড়াও এখানে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব অবকাঠামো নির্মিত হলে অত্র এলাকার আর্তসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে ।

প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষে আদমজী পাবলিক স্কুল ও কলেজে ২০২০ সালে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এখানে ৩ হাজার ২০০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

একইভাবে ‘জলসিড়ি পাবলিক স্কুল ও কলেজ’ এবং ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ’ এর সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ