ভারতের দুই শহর থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে ‘টাপেন্টাডল’
প্রকাশিতঃ 5:53 pm | October 04, 2023
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:
ব্যথানাশক ওষুধ টাপেন্টাডলকে মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন নেশাগ্রস্থরা। এজন্য সরকার এ ওষুধকে মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে পাশের দেশ ভারতের দুটি শহর থেকে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এই মাদক। শহর দুটি হলো তেলেঙ্গানা ও গান্ধিনগর।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।
এই কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে মাদকসহ গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। অভিযানে ১ লাখ ২১ হাজার পিস টাপেন্টাডল মাদক ছাড়াও নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- তামজীদ পাটোয়ারী (২৯) ও মবিনুর রহমান (৩০)। এরমধ্যে তামজীদ কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকার আব্দুল মান্নান পাটোয়ারীর ছেলে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাশ করেছেন। আর মবিনুরের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায়। তার বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। মবিনুরও তামজীদের মতো সদ্য গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করে ব্যবসা করেন।
অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী জানান, প্রশান্ত সাহা নামে এক চিকিৎসক নিজ পেশার আড়ালে কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে টাপেন্টাডল মাদক দেশে নিয়ে আসেন। পরে তা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানের কাছে পাঠাতেন। এরপর তারা সেগুলো নিয়ে ধানমন্ডির একটি বাসায় মজুদ করতেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এই কর্মকর্তা আরও জানান, তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার টাপেন্টাডলের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। আমরা এই সিন্ডিকেটের ব্যবসার কৌশল শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তারা একটি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে টাপেন্টাডলের একটি বড় চালান সংগ্রহ করে হাজারীবাগ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে মজুদ করতেন।
মজিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি রাজধানী ছাড়াও মাদারীপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলা শহরে এই মাদকের একাধিক ক্রেতা রয়েছে। গ্রেফতাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়ানো জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করত। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যেগুলো যাচাই-বাছাইপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালের আলো/এমএএইচইউ