বিএনপি-জামাতের নারকীয় তাণ্ডবের চিত্র
প্রকাশিতঃ 11:01 pm | October 28, 2023
কালের আলো রিপোর্ট :
ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, প্রাণহানি ও হরতাল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দিনটি। দিনভর নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপি-জামাত। বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ পর্যন্ত পণ্ড হলেও আগেই তারা হত্যা করেছে পুলিশ সদস্যকে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) এই দু’দলের সহিংসতার চিত্র উপস্থাপন করা হলো।
সকাল ১১ টা ২২
কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে ভাংচুর করে। সাড়ে ১১ টায় কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
দুপুর ১ টা ৫ মিনিট
বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। ১ টা ১০ মিনিটে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাড়ি এবং সিসিটিভি ভাংচুর এবং ককটেল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট
আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের পোস্টার এবং ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে ককটেল নিক্ষেপ করে। ১০ মিনিট পর বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের গলিসমূহে পূর্বে সংরক্ষিত লাঠি, রড নিয়ে বের হয় এবং নাইটিঙ্গেল মোড়সহ আশেপাশের এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ করে। এ সময় পুলিশ প্রতিহত করতে চাইলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
দুপুর ২ টা ২০ মিনিট
রমনা থানার বিজয় নগর (পানির টাংকি সংলগ্ন) রাস্তার মোড়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়। এ সময় পুলিশকে রাস্তার দু’পাশ থেকে ঘিরে আন্দোলনকারীরা ঘিরে ফেলে। ২ টা ৫৫ মিনিটে কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে অগ্নি সংযোগ করে।
৩ টা ১৫ মিনিট
রাজধানীর কাকরাইল মোড় ও নাইটিঙ্গেল এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় ১জন আনসার সদস্য এবং ১ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এছাড়া উক্ত স্থান হতে ১টি রাইফেল এবং ১টি শর্টগান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর ৫ মিনিটের মাথায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে এবং বাহিরে অগ্নিসংযোগ করে। ৩ টা ২৫ মিনিটে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর কাকরাইল মোড় ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
বিকেল সাড়ে ৩ টা
মগবাজার ফ্লাইওভার এর নীচে বিএনপি এবং পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ টিয়ারশেল ব্যবহার করে। একই সময়ে আরামবাগে জামায়াত ইসলামীর সমাবেশের শেষে অগ্নি সংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে। ৩ টা ৩৫ মিনিটে বিএনপির নেতা কর্মীরা দৈনিক বাংলা মোড় পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করলে উক্ত হামলায় ১ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিট
বিএনপির নেতাকর্মীরা মালিবাগ এলাকার ফ্লাইওভারের নিচে কাঠের টেবিলে অগ্নি সংযোগ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে। বিকেল ৪ টা ৯ মিনিটে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে এলাকা ত্যাগ করার সময় মালিবাগ এলাকার ফ্লাইওভারের নিচে ১০ থেকে ১৫ জায়গায় অগ্নিসংযোগ করে।
বিকেল ৪ টা ২৫
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে করে। সাড়ে ৪ টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় কয়েকটি বসে অগ্নিসংযোগ করে।
বিকেল ৪ টা ৪০
বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে আহত এক পুলিশ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। ওই সময় মৌচাক ফ্লাইওভারের উপর একটি বাসে আগুন লাগায় এবং পুলিশ দ্রুত জলকামানের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিকেল ৫ টা ১৮
কাকরাইল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে, পাশে বৈদুতিক ষ্টেশন এক তারে আগুন লাগে পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৫ টা ২২ মিনিটে মির্জা আব্বাসের গলি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মতিঝিল থানার ১ জন এএসআই পুলিশ সদস্যের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫ টায় নাইটিঙ্গেল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
কালের আলো/ডিএস/এএএমকে