বিএনপি দেশকে একটি পশ্চাদপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় : শেখ পরশ
প্রকাশিতঃ 5:40 pm | November 06, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বিএনপি এদেশকে একটি পশ্চাদপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, এতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজকে যে ধ্বংসনীলা যে সন্ত্রাসীবাহিনী করছে তাদের আসল পরিচয় কি? তাদের আসল পরিচয় আলবদর, আল-শামস, রাজাকার বাহিনীর সাথে তাদের সখ্যতা। যাদের হাতে লেগে আছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের দাগ যা এখনও মুছে যায়নি। তাদের দোসর সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। যারা এদেশকে একটি পশ্চাদপদ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর অপশক্তি বলে টেকব্যাক বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা পিছনের দিকে যেতে চায় না, আমরা সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং এই সামনের অগ্রযাত্রাই চলমান থাকবে বাংলাদেশে। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এদেশে বিরাজমান ততদিন এই সকল অপশক্তি কোন ক্ষতি সাধণ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিল। এসে কি করেছে এদেশে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। এই দেশের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে চরম অপমান ও অবমাননা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে। আর সেই পিছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না, তারা আজকে ঘরে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি আপনাদের চোখের সামনেই বিরাজমান। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ঢাকা শহরের চেহারা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কারা এদেশে প্রকৃত উন্নত সাধণ করে। আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা যারা ’৭৫-এর একটি নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান ও নারী-শিশু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত, সেই সকল অপশক্তির কাছে এদেশের জনগণ আর ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা মিথ্যাচার আর অপ-প্রচার করে এদেশে রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শহীদদের অবমাননা করেছিল। আমাদের “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল সেই “জয় বাংলা” স্লোগান তারা নিষিদ্ধ করেছিল। সুতরাং তাদের পরিচয় এদেশের জনগণ তখন বোঝে। তারা তো এদেশে ধ্যান-ধারণাতে বিশ্বাস করে না। তাই তারা তাদের সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিরূপ আজকে প্রকাশ করছে। তারা অভিনয় করছে অনেক, ভণ্ডামী এবং প্রতারণাও করেছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা তাদের সন্ত্রাসী রূপ উন্মোচিত করেছে, তাদের প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত করেছে। ঐ বিদেশে বসে রিমোট টিপে আন্দোলনের ডাক দেয় সেই আন্দোলনে জনগণের কোন শরিক নাই। সেই আন্দোলনে শরিক আছে সেই রাজাকার, আলবদর, আল-শামস, জামাত, মুসলিম লীগের নেতা ও সন্তানেরা। যারা মুক্তিযুদ্ধতে বিশ্বাসী ছিল যাদের পূর্বপুরুষের, বাংলাদেশের ধ্যান-ধারণা-চেতনাতে বিশ্বাসী তারা কখনো দেশের বিরুদ্ধে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, যতদিন বিএনপি-জামাত অবরোধ দিবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে আমরা সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথেই থাকবো। আমরা বার বার দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণের এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। এই অধিকার আমাদেরকে দিতে হবে। আমরা জানতে চাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা, সে কিভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে তা জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারেক জিয়ার মুখোশ আজকে আপনাদের সামনে পরিষ্কার হচ্ছে, জিয়াউর রহমানও মুখোশধারী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাতের দোসর। তার মুখোশ উন্মোচিত হবে।
অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কালের আলো/বিএস/এমএইচ