অনিক খান, কালের আলো:

যেকোন বিপদে বা সঙ্কটেই তিনি নগরী তো বটেই জেলার বাসিন্দাদেরও আস্থার প্রতীক। করোনার ঘরবন্দি জীবনে অনেকেই যখন নিরাপদ দূরত্বকেই করেছিলেন নিয়ম সেই সময়েও সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েছেন। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণের দুই বছরে নানাভাবে দু:স্থ, বিপন্ন এবং অসহায় মানুষের পাশে থাকাকেই একরকম নিজের ‘রুটিন ওয়ার্ক’ করেছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের টানা দু’বারের সহ-সভাপতি ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন। এমন সময় করোনা দু:সময়ে সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ভূমিকা ও কর্মকাণ্ডের বিষয়টি নানাভাবেই আলোচিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমিনুল হক শামীমকে করোনা সঙ্কটে ভরসা খোঁজার মতো সম্পূর্ণ মানবিক বোধসম্পন্ন নেতৃত্ব হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন দলীয় অনেক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনসাধারণ।

বিশেষ করে সেই সময় খাদ্য বা আর্থিক সঙ্কটে হাসফাঁস সময়ে আমিনুল হক শামীম ও তাঁর পরিবারের মনুষ্যত্ববোধের পরিচয় অনেকটাই সহনীয় করে অসহায় বা বিপন্ন নগরীর অনেক বাসিন্দাদের জীবনমানকে। শুধু তাই নয়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অধ্যায়ে শ্বাসতন্ত্রের রোগ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চাপ বেড়ে যাওয়ার সময়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের উদ্যোগে উপহার দেওয়া হয়েছিল ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগকেও দেওয়া হয় আরও ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং করোনা রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স। চিকিৎসা সচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাঁর সব প্রয়াসই। বেদনাভারাক্রান্ত সময়ে তাঁর এমন উপহার রীতিমতো স্বস্তি দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতো মুখভার নগরীর বাসিন্দাদেরও। দেশের গণমাধ্যমেও আলোচিত হয় নগরীর ‘হক পরিবার’র আরও একটি মানবিক নজিরের উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট হয় ময়মনসিংহের সম্ভ্রান্ত হক পরিবারের উচ্চায়ত মানবিক মূল্যবোধের গল্পগাথা।

এসব সারি সারি চিত্রপটের দৌলতেই করোনাকালীন সময়ে আমিনুল হক শামীমের হক পরিবারের সামগ্রিক হালহকিকত স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্দীপ্ত করে। কালের আলোর পর্যবেক্ষণেও তুলে আনা হয় নগরবাসীর ‘হৃদমাঝারে’ তাদের ঠাঁই করে নেওয়ার চুম্বক পয়েন্ট।

মানবসেবাই জীবনের সত্যনিষ্ঠ এক অনুসঙ্গ
করোনার দহন যন্ত্রণায় মানুষে মানুষে মুখ দেখাদেখি বন্ধের এবং জীবনভীতির উলট-পালট সময়েও মোটেও পিছু হটেননি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম এবং তাঁর ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.ইকরামুল হক টিটু। বুক টান করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে করোনা যুদ্ধে আলো ও আশা জাগানোর নিরন্তর প্রয়াস গ্রহণ করেন। ক্লান্তিহীন স্বপ্ন-অভিযাত্রী যোদ্ধা হিসেবেই আরও একবার তাঁরা প্রমাণ করেন মানবসেবাই তাদের জীবনের সত্যনিষ্ঠ এক অনুসঙ্গ।

করোনা সঙ্কটকে জয়ের মন্ত্র
নিজ নিজ অবস্থান থেকে দু’ভাই নগরীর দু:স্থ ও অসহায় বাসিন্দাদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে করোনা সঙ্কটকে জয়ের মন্ত্র গাঁথেন নিজেদের মস্তিষ্কে। কয়েক ধাপে প্রায় দুই লক্ষ পরিবারের কাছে নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। অভাবী ও অসহায়ের মুখে মুখে ফুটিয়েছিলেন স্বস্তির হাসি। কাটিয়ে দিয়েছিলেন অনিশ্চয়তা। বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা নগরীর সম্ভ্রান্ত হক পরিবারের মর্যাদা ও সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।

আমরা তোমাদেরই লোক
রাজনীতিতে লোক দেখানো ভাবে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ ভাবমূর্তি রচনা করতে পরিপক্ক একশ্রেণি। কিন্তু নিজেদের কর্ম আর ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই আমিনুল হক শামীম ও ইকরামুল হক টিটু বারবার নিজেদের প্রমাণ করেছেন। শীত, গ্রীষ্ম বারো মাস তাঁরা ময়মনসিংহবাসীর সেবায় নিবেদিত। এখানকার বাসিন্দারা আপদে-বিপদে তাদের পাশে পেয়েছেন সব সময়। স্বভাবতই আপন করে নিয়েছেন আমিনুল হক শামীম সিআইপি ও মেয়র ইকরামুল হক টিটুকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানব কল্যাণে রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করেই স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বলিষ্ঠ প্রাণময় শক্তির উৎস হয়ে উঠেছেন তাঁরা। সঙ্কটে অনুপ্রেরণাময় এ দু’ব্যক্তিত্বের জন্যই কন্ঠে কন্ঠে গুঞ্জরিত হচ্ছে-‘আমরা তোমাদেরই লোক’। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নি:সন্দেহে ভোটারদের মাঝে এই অনন্য মানবিকতার বিষয়টি ফ্যাক্টর হয়ে ওঠবে।

কালের আলো/এমএ/একে