জমি পাহারা দিচ্ছিলেন হাশিম, কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মাদকসেবীরা
প্রকাশিতঃ 6:22 pm | December 28, 2023
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
নবাবগঞ্জের মাতাবপুরে মাদক সেবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া মো. হাশিম (৬৫) নামে এক কৃষকে গলা গেটে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. কামাল (৩৬), মেছের আলী (৪২), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে নসু (৪৬), মো. পিন্টু চৌধুরী (৩০) ও মোজলেম (৫৫)।
রাজধানীতে ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় সোহেল নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে মো. পিন্টু চৌধুরী, মোজলেম, মেছের আলী ও মো. কামাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা।
তিনি বলেন, ভিকটিম মো. হাশিম নবাবগঞ্জের মাতাবপুরের বাসিন্দা। তার বাড়ির কাছেই একটি জমিতে তিনি ঘাস ও সবজি চাষ করেছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল রাতে তিনি বাড়ি থেকে জমিতে যান তার চাষ করা ঘাস ও সবজি পাহারা দিতে।
জমিতে পাহারা দিতে গিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে হাশিমের গলাকাটা ও রক্তাক্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে এ ঘটনায় ভিকিটমের ছেলে মো. আরিফ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় গত ১৫ জুন মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে।
পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তকালে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাতে জমি পাহারা দিচ্ছিলেন হাশিম। ওই রাতে মো. কামাল, মেছের আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে নসু, মো. পিন্টু চৌধুরী, মোজলেম, সোহেল হাশিমের জমি সংলগ্ন স্কুল মাঠে গাঁজা সেবন ও জুয়া খেলছিলেন।
কিন্তু হাশিম জমি পাহারা দেওয়ায় আসামিদের এসব কাজ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিলো। তখন তারা হাশিমকে জমি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু তাদের কথা মতো চলে না যাওয়ায় আসামিদের সঙ্গে হাশিমের তর্কাতর্কি হয়।
তর্কের একপর্যায়ে নসু ও জাহাঙ্গীর বাকি আসামিদের সহযোগিতায় ঘাস কাটার কাচি দিয়ে ভিকটিম হাশিমকে গলা কেটে হত্যা করে। হাশিমকে হত্যার পর আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কালের আলো/এমএইচ/এসবি