স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে মো. তাজুল ইসলামেই আস্থা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 10:24 pm | January 11, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

দেশের বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পেয়েছেন কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে টানা চারবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। একাদশ জাতীয় সংসদেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সুনাম, দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ফলত টানা দ্বিতীয়বার অভিজ্ঞ রাজনীতিক মো.তাজুল ইসলামের প্রতিই আস্থা রাখেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বন্টন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেন মো.তাজুল ইসলামসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। পরে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে মো.তাজুল ইসলাম নতুন এক ইতিহাস গড়েছেন। অতীতে কেবল প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তবে কর্মগুণে আলো ছড়িয়ে দক্ষ ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুড বুকে স্থান করে নিয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে তাঁর পুনরায় দায়িত্বের খবরে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা বদনাম ছিল। কিন্তু গত মেয়াদে প্রথমবার এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েই তাজুল ইসলাম সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কর্মপ্রবাহ সঞ্চালিত করেন মন্ত্রণালয়টিতে। স্থানীয় সরকারকে রূপ দেন জনবান্ধব মন্ত্রণালয়ে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। মন্ত্রীর বড় গুণ ভালো কাজে তিনি জনপ্রতিনিধিদের উৎসাহিত করেন এবং নেতিবাচক কাজে নিরুৎসাহিত করেন। কঠোর অ্যাকশন গ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করেছেন। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়েছেন। ফলে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছেন।

কালের আলো/বিএসবি/এমএইচ