মুক্তাগাছায় টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে খুন হন শামীম
প্রকাশিতঃ 6:05 pm | January 21, 2024
ময়মনসিংহ প্রতিবেদক, কালের আলো:
মুক্তাগাছায় অটোরিকশা চালক মো. শামীম হকের (২৬) মরদেহ উদ্ধার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষমতা দেখিয়েছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মো. রাকিবুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম আহম্মেদ।
পুলিশ সুপার তিনি জানান, নিহত শামীম হক এবং খুনি রাকিবুল ইসলাম দুজনেই উপজেলার তারাটি চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা পেশায় অটোচালক। এর মধ্যে খুনি রাকিবুল ঋণগ্রস্থ হওয়ায় সে কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলেন।
অপরদিকে নিহত শামীমও মোবাইল কেনার জন্য টাকার অভাবে ভুগছিলেন। এই অবস্থায় তারা দুজনেই পরিকল্পনা করে শামীমের ভাড়ায় চালিত অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেবে এবং মালিককে বলবে অটোরিকশা চুরি হয়ে গেছে।
ওই পরিকল্পনামতেই তারা গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ওই অটোরিকশাটি নিয়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি বাজারে গিয়ে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরে শামীম দুই হাজার টাকা দেয় রাবিকবুলকে। এতে রাকিবুল ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করেন। পরে মুক্তাগাছা উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি নির্জন স্থানে গিয়ে তার জ্যাকেটের ফিতা খুলে শামীমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় রাকিবুল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় অটোরিকশাটি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিরাশি গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালক শামীম হকের মরদেহ উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। পরে ওইদিনই নিহতের বাবা মো. সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞতাদের আসামি করে এই মামলা দায়ের করলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ।
কালের আলো/এমএএইচ