পেট্রোল-অকটেনের দাম কমানো প্রতারণার সীমা ছাড়িয়ে গেছে: আলাল

প্রকাশিতঃ 4:11 pm | March 08, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘কয়েকদিন ধরে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, পেট্রোলের দাম কমানো হলো তিন টাকা, অকটেনের দাম কমালো চার টাকা। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত।’

এসময় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এবার ভোটে তাকে ঠকানো হয়েছে। এজন্য অসন্তুষ্ট হয়ে এখন ওনার বরই খাইতেও অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এর আগে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না খেতে অসুবিধা হয়নি? গত রোজার সময় কুমড়ো দিয়ে বেগুনি খেয়েছিলেন, তখন অসুবিধা হয়নি?’

শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বিদ্যুৎের মূল্য বাড়িয়েছে আকাশ সমান। অথচ এ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের কাছে নিজেদেরকে সংকুচিত হতে হয়। এ সরকার একটি প্রতারণার সরকার। তারা বলে রোজায় কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। তারা কিন্তু সত্যি কথাই বলেছেন। তারা (সরকার) রোজার তিন মাস আগে থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতেই থাকে। এরপর আর রোজার সময় দাম বাড়ায় না। তার মানে আওয়ামী লীগ তার ওয়াদা ঠিক রাখে, তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে।’

তিনি বলেন, ‘ইদানীং আবার কিছু কিছু লোক শেখ হাসিনার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে যেসব কথা বলছেন তাতেও হাস্য-কৌতুকের সৃষ্টি হচ্ছে। হাসানুল হক ইনু খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এবার ভোটে তাকে ঠকানো হয়েছে, এবার শেখ হাসিনা ওনাকে কোনো টিকিট দেননি। এজন্য অসন্তুষ্ট হয়ে এখন ওনার বরই খেতেও অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এর আগে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না খেতে অসুবিধা হয়নি? গত রোজার সময় কুমড়ো দিয়ে বেগুনি খেয়েছিলেন, তখন অসুবিধা হয়নি? কাঁঠালের বার্গার খেয়েছিলেন, তখন অসুবিধা হয়নি? এখন ছোট্ট একটি বরই খেতে এত অসুবিধা হয়ে গেলো! আপনিতো সরকারি টাকায় হজ করে এসেছেন। আপনি এখন সরকারি হাজি।’

সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনের বিষয়ে আলাল বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কাল রাতে ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেরার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার নিজের লোকজনদের দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন। এরকম ভাবে দেশের সবজায়গায় লুটপাট চলছে।’

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন বেপারী। জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন খানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, সাবেক ছাত্রনেতা এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।

কালের আলো/এমএইচ/এসবি