সকল বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করতে দিকনির্দেশনা বিএনএসিডব্লিউসি চেয়ারম্যানের
প্রকাশিতঃ 11:37 pm | May 19, 2024
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
শিল্পখাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে রাসায়নিক কেমিক্যালের অবাধ ব্যবহার বাড়ছে। সহজলভ্যতা থাকায় তৈরি হচ্ছে নানা কারখানা। অনেকক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় ঘটছে মারাত্মক সব দুর্ঘটনাও। ধ্বংস হচ্ছে বিপুল সম্পদ। ঘটছে বহু মানুষের প্রাণহানিও। এমন বাস্তবতায় তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ অন্যান্য সংবেদনশীল রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবহনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম।
একই সঙ্গে তিনি বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের মাধ্যমে বহুমুখী ও ভয়াবহ এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের সকল বন্দরে রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার ব্যাপারে বিশেষ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
রবিবার (১৯ মে) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (বিএনএসিডব্লিউসি) এর ২২তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় সুচিন্তিত ও সময়োপযোগী এসব নির্দেশনা প্রদান করেন বিএনএসিডব্লিউসি চেয়ারম্যান।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। পদাধিকারবলেই বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যানও তিনি। নিজ দায়িত্বে আসীন হওয়ার পর এদিন প্রথমবারের মতো তিনি বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) সাধারণ সভাতে সভাপতিত্ব করেন।
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং বাহিনীসমূহ থেকে বিএনএসিডব্লিউসি’র সদস্যসহ ৪৩ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বাংলাদেশে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন সংক্রান্ত বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২১তম সাধারণ সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বাংলাদেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা সুসংহতকরণ ও রাসায়নিক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে সংশি‘ষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিএনএসিডব্লিউসি’র সঙ্গে নিবন্ধনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়।
সভা সূত্র জানায়, সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো বিএনএসিডব্লিউসি’র বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দল মোংলা বন্দর পরিদর্শন করে। বন্দরের রাসায়নিক নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের করণীয় বিষয়ে সভাকে অবহিত করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় কর্তৃপক্ষ, রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের (বিএনএসিডব্লিউসি) চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসার জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতকরণ এবং চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্যসহ দেশের সার্বিক রাসায়নিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান। সভায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এজেন্ট সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সাড়াদানের জন্য বাহিনীসমূহের উদ্যোগে গঠিত কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম (সিডিআরটি) এর সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
কালের আলো/এমএএএমকে