বিশ্বজুড়ে সুনাম কুড়ানো বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে অপতৎপরতা, ‘নিরপেক্ষতা’ হারিয়েছে ডয়চে ভেলে!
প্রকাশিতঃ 9:46 pm | May 25, 2024
কালের আলো রিপোর্ট:
রীতিমতো গোয়েবলসীয় এক প্রামাণ্যচিত্র। যেখানে শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশও নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে বলে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক কর্মকর্তার নাম পরিচয় প্রকাশ না করে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। কায়দা কানুনে পরিবর্তন করা হয়েছে গলার স্বর। দাবি করা হয়েছে একদা তাঁরা র্যাবে কর্মরত ছিলেন! এমন কর্মকর্তার আদতে অস্তিত্ব না মিললেও পুরোদমে অপসাংবাদিকতার আশ্রয় নিয়েছে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)। বিশেষ করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে তাঁরা ব্যবহার করেছেন বহুল বিতর্কিত স্বঘোষিত নাস্তিক তাসনিম খলিলকে, যার প্রতিষ্ঠান নেত্র নিউজ দীর্ঘদিন যাবত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে মনগড়া ও গুজব নির্ভর সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছে।
এমন বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্যচিত্রের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতার পরিপোষক হিসেবে নিজেদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ), এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রতিবেদনটিকে তথ্যচিত্র বা ডকুমেন্টারি হিসেবে মানতে নারাজ দেশের পেশাদার সাংবাদিকরাও। তারা বলছেন, ‘এর মাধ্যমে আজগুবি, বানোয়াট উদ্দেশ্যমূলক ও নির্লজ্জ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। বিশ্ব পরিমণ্ডলে গৌরবে আসীন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অপসাংবাদিকতা ও অপরাধমূলক কাজকে মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই মোটেও।’
মূলত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশকে বাদ দিতে পুরনো বোতলে নতুন মদ কায়দার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামাত নেতাদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেওয়া ‘গুজব মেশিন’ হিসেবে কুখ্যাত তাসনিম খলিল। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব:) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরদিনই ডিডব্লিউতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অপপ্রচার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহি:প্রকাশ। তাঁরা বলছেন, দু-একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হতে হবে। ঢালাও অভিযোগ হালে পানি পাবে না। এ ধরনের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বাদ দেওয়ার চিন্তা অলীক কল্পনা।
এদিকে, ডয়চে ভেলের (ডিডব্লিউ) উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছেন দেশের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ। কথিত প্রতিবেদনটির বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। প্রতিবেদনটিকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে শনিবার (২৫ মে) কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তাঁরা বলছেন, ‘শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সকল সময়ে সবচেয়ে যোগ্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইকৃত সেনাসদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করে। সর্বদা এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্বাচনে উচ্চমানের আচরণবিধি এবং পেশাগত দক্ষতার দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।’
বিশ্বজুড়ে সুনাম বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের, রেকর্ড নেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে জাতিসংঘের পতাকাতলে ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। সেই সময় সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক দল ইরাক-ইরান শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যোগ দেয়। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মোজাম্বিক এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। এ ধারাবাহিকতায় গত ৩৭ বছর যাবত শান্তিরক্ষা মিশনে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে ওঠেছে দেশটি। বিশ্বের বিভিন্ন বিরোধপূর্ণ দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে নিজেদের। অসামান্য অবদানের জন্য সুনাম কুড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে এক নম্বরে অবস্থান করে নিয়েছে ব্লু-হেলমেটধারীরা।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বিশ্বের ৪৩টি দেশে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। এখন কয়েকটি মিশনে ছয় হাজারের বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন। মিশন শেষ করেছেন প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। ২০০৫ সালে কঙ্গোতে ৯ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। মিশন এলাকায় সংঘাতপূর্ণ ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন অবধি ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ইতোমধ্যে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৬৬ জন।
বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ শান্তিরক্ষী বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের উদ্বোধন ও রেমিট্যান্স পদক প্রদান উপলক্ষে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিপুল আত্মত্যাগের কথা জানিয়ে চরম পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন না বলে দৃঢ়চিত্তে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ সেদিন বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের সৈন্যরা হামলার শিকার হলে অনেক ক্ষেত্রেই তারা নির্মম আচরণ করেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কিছু কিছু দেশে নৃশংসভাবে গুলি চালানো হয়। তাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়। তারা মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করেন না। কিন্তু বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা দেশ-বিদেশে যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন, সুনাম কুড়িয়েছে। অতীতের রেকর্ড পর্যালোচনা করলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি ঘটনাও পাওয়া যাবে না। দেশের সামরিক বাহিনী নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। দেশেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জাতি গঠন এবং নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করি আমরা। সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কার্যকরভাবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে প্রয়োগ করেন। নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে তাসনিম খলিলের মিথ্যাচার, অনুমানভিত্তিক গোয়েবলসীয় অভিযোগ
বদমতলব নিয়ে উসকানিমূলক খবর প্রচারের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ‘প্রোপাগান্ডা পোর্টাল’ হিসেবে পরিচিত নেত্র নিউজ সম্পাদক তাসনিম খলিল। এবার তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ডয়চে ভেলে। বাংলাদেশের জাতিসংঘ মিশন বন্ধের পাঁয়তারা করতে দেশটির শান্তিরক্ষীদের নিয়ে অপ্রমাণিত ও দুর্বল তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনটিকে পর্বতের মূষিক প্রসবের সঙ্গেও তুলনা করেছেন কেউ কেউ।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা এনইডি’র অর্থায়নে ২০১৯ সালে আন্ডার গ্রাউন্ড অনলাইন পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’ প্রতিষ্ঠা করেন তাসনিম। বিএনপির বিলুপ্ত ঐক্যফ্রন্টের নেতা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি অনলাইনটি চালান। এটি পরিচালনার সার্বিক খরচ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি (এনইডি) প্রতিষ্ঠানটি। এনইডিকে বলা হয় আধুনিক সিআইএ। নেত্র নিউজে তিনি প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা ও গুজব ছড়াচ্ছেন।
তাসনিম খলিলের গুজব মস্তিষ্কের ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোন মন্তব্য গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। পক্ষপাতমূলক ও একপেশে এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে তিন বাহিনীর মুখপাত্র এ সংস্থাটি। আইএসপিআর বলছে, ‘ডকুমেন্টারিটিতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে অপর একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল অভিপ্রায় ছিল বলে প্রতীয়মান। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রয়াস, যা ডকুমেন্টারিটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করেছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন বীর সেনানী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেন এবং ২৩৯ জন আহত হন; জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টায় এটি একটি বিরল উদাহরণ। এছাড়াও, বিগত তিন দশকে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কোন রূপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।’
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গণমাধ্যমসমূহের ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদনের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করে আইএসপিআর। তাঁরা বলেন, ‘বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংবাদ প্রচার বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে ক্ষুন্ন করবে।’
এসব বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র। শান্তিরক্ষী মিশনে বর্তমানে বাংলাদেশ ৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। সেখানে যদি কোনও অপরাধী থাকেও সেটা হাতে গোনা কয়েকজন হতে পারে। আর এই অভিযোগ সঠিক নাও হতে পারে। কারও বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ উঠলেই সেটা প্রমাণিত হয় না যে সে অভিযুক্ত ও দোষী, যদি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত না হয়। এটাই হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন, অভিযোগ করলেই হবে না যে সে অভিযুক্ত। সুতরাং এই কথাগুলো যারা বলছেন তারা কোন ভিত্তিতে বলছেন? যার কোনও সোর্স নেই। এটা সম্পূর্ণ অনুমানভিত্তিক অভিযোগ।’
একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ থেকে লোক না নেয়ার ষড়যন্ত্র অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র অতীতে ছিল, আগামীতেও থাকবে। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব সেটা করে আসছে।’
২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির সময় থেকে এটা চলে আসছে জানিয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে অর্থ দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। তারা যেখান থেকে অর্থ পায়, সেগুলো সবই এনজিও। তারা প্রায় সবাই বিদেশি অর্থে পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া নিউজ করা হয়।’
সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের যে বাহিনীগুলো বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালায়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে জাতিসংঘ তাদের মুখোশ খুলে দেবে এবং প্রকৃত তথ্য ও সত্য বলে দেবে।’
কালের আলো/এমএএএমকে